ফরিদপুর: বাংলাদেশে ধর্মান্ধ মুসলমানদের সাথে বসবাস করার মতো পরিবেশ আর হিন্দুদের নেই।
এত কঠোর কথাই বলতে হচ্ছে হিন্দুদের।কারণ বাংলায় আর হিন্দুদের ঠাঁই নাই। ভয়াবহ পরিস্থিতি! প্রতিদিন হিন্দুদের বাড়িঘরে আক্রমণ হচ্ছে।
মন্দির ভেঙে ফেলা হচ্ছে। হিন্দুরা থাকবে কেন এইদেশে? এমন ভাব মুসলমানদের। এই অত্যাচার কি আজকের?
যুগে যুগে অত্যাচার সয়ে যাচ্ছে হিন্দুরা। হিন্দু হওয়ার কারণেই তাঁদের উপর এমন অত্যাচার হচ্ছে। হিন্দুরা মৌলবাদীর চক্ষুশূল!
তাদের চোখে হিন্দুরা কাফের।তাই এদের রাখা যাবে না দেশে!
*লালমনিরহাটে পিতাপুত্রকে ধর্ম অবমাননা করার নাম করে মারধর।
*খিলখেত মন্দির উচ্ছেদ।
*কুমিল্লার মুরাদ নগরে হিন্দু নারীকে ধর্ষণ।
*রংপুরে হিন্দু পল্লীতে ২০টিরও বেশি বসতঘরে হামলা।
*চট্টগ্রামে এক হিন্দু পরিবারের জায়গা জোরপূর্বক দখলের চেষ্টা।
এছাড়াও আরো অসংখ্য হিন্দু সংস্থাপনা ধ্বংস ও হিন্দু নির্যাতন হামলার কোন বিচার হয়নি।
আরো হাজার হাজার উদাহরণ আছে।
কিন্তু তবুও এক পক্ষ বলবে, বাংলাদেশে হিন্দুরা ভালো আছে।দুঃখের বিষয় রাজনৈতিক দল, প্রশাসন এবং সর্বোপরি সরকার সকলেই হিন্দুদের উপর সহিংসতা ও হামলার বেলায় চুপ।
ফরিদপুর সদরের কানাইপুরে রাতের অন্ধকারে একটি সার্বজনীন দুর্গা মন্দির ভাঙচুর করেছে মৌলবাদী মুসলমানরা।
প্রতিমা ভাঙচুর করা হয়েছে। কোনো প্রতিমার হাত ভাঙেছে, কোনোটির পা ভেঙেছে, কোনটির দাঁত ভেঙেছে, কোনোটির চুল ছিঁড়ে ফেলেছেে, কোনটির শরীরের অন্যান্য অংশে ক্ষতি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার রাতে চোরের মতো এসে কানাইপুর ইউনিয়নের খাসকান্দি সর্বজনীন শ্রীশ্রী কালী ও দুর্গা মন্দিরে এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে।
মন্দিরটি কানাইপুর রণকাইল সড়কের খাসকান্দি এলাকার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের অধীনে একটি হোমিও ফার্মেসি সংলগ্ন এলাকায় অবস্থিত।
যতই নিরাপত্তা দেয়া হোক, সিসি ক্যামেরা বসানো হোক- সর্ষের মধ্যেই ভূত বসে আছে। নিরাপত্তারক্ষীর সামনেও এইসব পৈশাচিক কাণ্ড করে চলে যাচ্ছে জঙ্গীরা, কেউ কিছু বলে না!
তো নিরাপত্তা দেবে কে? আর একটা স্বাধীন দেশের স্বাধীন নাগরিকদের নিরাপত্তা দিতে হবে কেন? নিরাপত্তা দিয়ে কতদিন টেকানো যায়?