ঢাকা: বাংলাদেশের অবস্থা এখন সবদিক থেকে শোচনীয়। বিটিএমএ সভাপতি শওকত আজিজ রাসেল জানিয়েছেন, গ্যাস সরবরাহ না দিয়ে সরকার একাত্তরে বুদ্ধিজীবি হত্যার মতো এখন ব্যবসায়ীদের মেরে ফেলছে।
তিনি বলেন,”একাত্তরের ‘১৯৭১ সালে খুঁজে খুঁজে বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করা হয়েছে। ২০২৫ সালে শুধু শিল্প নয়, শিল্পোদ্যোক্তাদের মেরে ফেলা হচ্ছে।’ শিল্প বাঁচাতে না পারলে দেশে দুর্ভিক্ষ হবে বলে মন্তব্য করেন।
উল্লেখযোগ্য যে, দেশে গ্যাসের উৎপাদন নিয়মিত কমছে। ঘাটতি মেটাতে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানি বাড়িয়েও কঠিন পরিস্থিতি সামলানো যাচ্ছে না।
চাহিদা যতখানি সে হিসেবে সরবরাহ তেমন বাড়ছেই না। এর ফলে গ্যাস সরবরাহের সংকট কাটছেই না।
এদিকে, গ্যাস সংকটে টেক্সটাইল ও গার্মেন্ট খাত বিপর্যস্ত। টেক্সটাইল ও গার্মেন্ট শিল্পে গ্যাস সরবরাহ হঠাৎ কমে যাওয়ায় উৎপাদন ক্ষমতা ৩০-৪০ শতাংশে নেমে এসেছে।
গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, ভূলতা, মাওনা ও টঙ্গীর মতো শিল্পাঞ্চলে গ্যাসের সংকট তীব্র আকার ধারণ করেছে, যার ফলে বহু কারখানায় উৎপাদন কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে।
বাংলাদেশ তেল, গ্যাস, খনিজ সম্পদ করপোরেশন (পেট্রোবাংলা) সূত্র বলছে, বর্তমানে দিনে গ্যাসের চাহিদা ৩৮০ কোটি ঘনফুট।
৩০০ কোটি ঘনফুট সরবরাহ পেলে রেশনিং করে (এক খাতে কমিয়ে, আরেক খাতে বাড়ানো) পরিস্থিতি সামাল দেওয়া হয়।
দিনে এখন সরবরাহ হচ্ছে গড়ে ২৭০ কোটি ঘনফুট। বিদ্যুৎ খাতে কমিয়ে সম্প্রতি শিল্পে গ্যাস সরবরাহ বাড়ানো হয়েছে।
উল্লেখ করতে হয়, দিনের পরিবর্তে রাতে কারখানা চালু রাখতে শ্রমিকদের বাড়তি বেতন দিচ্ছেন কেউ কেউ। অবস্থা এতটাই বেগতিক।
বাংলাদেশ নিটপণ্য প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিকেএমইএ) সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, গ্যাস সংকটের জন্য শিল্পের উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। এ সমস্যা সমাধানে সরকারকে এখনই উদ্যোগ নিতে হবে।