ঢাকা: স্বাধীন বাংলাদেশের জন্মই হয়েছিল একটি রাজনৈতিক দলের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ। ইতিহাসের এমন কোনো অধ্যায় নেই যেখানে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ, গণতন্ত্রের আন্দোলন, বা সমাজ-সংস্কারের সংগ্রামে আওয়ামী লীগের নাম জড়িত নেই। সেই দলকে আজ নিষিদ্ধ করার কল্পনা করা বা আওয়াজ তোলা এক ভয়ঙ্কর ষড়যন্ত্র, যা দেশের স্বাধীনতা, ইতিহাস ও জনগণের রায়কে অবজ্ঞা করার নামান্তর।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ১৯৭১ সালে যে স্বাধীনতার সূর্য উদিত হয়েছিল, তার মূল ভিত্তি ছিল আওয়ামী লীগ। একুশে ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু করে ছয় দফা, ’৬৯-এর গণআন্দোলন এবং অবশেষে ’৭০-এর নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয় এই সবই আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে সংঘটিত। আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার মানে হচ্ছে স্বাধীনতার নেতৃত্বকে অস্বীকার করা।

আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ হচ্ছে দেশে বিদেশে। এবার জার্মান আওয়ামী যুবলীগ বিবৃতি দিলো অবৈধ ইউনুস সরকার কর্তৃক আওয়ামী লীগের কার্ষক্রম নিষিদ্ধের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে।

“আমরা জার্মান আওয়ামী যুবলীগের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের গণতন্ত্রের ধারক ও বাহক, স্বাধীনতা ও উন্নয়নের প্রতীক, ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ–এর সাংগঠনিক কার্যক্রম অবৈধ ইউনুস সরকার কর্তৃক নিষিদ্ধ ঘোষণার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।

এই ষড়যন্ত্রমূলক পদক্ষেপ শুধু আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে নয় — এটি বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক রাজনীতি, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এবং বঙ্গবন্ধুর আদর্শের ওপর সরাসরি আঘাত। একটি স্বাধীন দেশের মাটি থেকে দেশের সবচেয়ে বৃহৎ গণতান্ত্রিক শক্তিকে নিষিদ্ধ করার অপচেষ্টা প্রমাণ করে, এই সরকার জনগণের দ্বারা নির্বাচিত নয় এবং তারা নিজেদের অপকর্ম আড়াল করতেই এমন স্বৈরাচারী সিদ্ধান্ত নিচ্ছে।

জার্মান আওয়ামী যুবলীগ দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশবাসী ও প্রবাসীরা এই ষড়যন্ত্র প্রতিহত করবে।

আমরা আহ্বান জানাই বিশ্বের সকল প্রবাসী আওয়ামী পরিবারের সদস্যদের—একমুষ্টিতে রুখে দাঁড়ান, আওয়াজ তুলুন:

“গণতন্ত্রের পক্ষে, ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে”
“আওয়ামী লীগ মানেই বাংলাদেশ”

উল্লেখযোগ্য যে, বর্তমানে একটি চক্র “নিরপেক্ষতা”র নামে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার মত বিকৃত ধারণা প্রচার করছে। তারা বলছে, “আওয়ামী লীগ দেশে একদলীয় শাসন কায়েম করেছে”, অথচ বাস্তবতা হচ্ছে বাংলাদেশের মানুষ বারবার ব্যালটের মাধ্যমে আওয়ামী লীগকে ভোট দিয়ে ক্ষমতায় এনেছে। জনগণের এই রায়কে অস্বীকার করা মানে গণতন্ত্রেরই অস্বীকৃতি।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *