গোপালগঞ্জ: “জুলাই পদযাত্রা” না “মার্চ টু গোপালগঞ্জ”? কেন? সবখানে জুলাই পদযাত্রা আর গোপালগঞ্জের বেলায় মার্চ টু গোপালগঞ্জ কেন?
সকাল থেকে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে গোপালগঞ্জ।
গোপালগঞ্জ শুধু একটি জেলা নয়,এটি বাংলাদেশ রাষ্ট্রচিন্তার আদি ভূমি,জাতির পিতার আত্মিক প্রাঙ্গণ,আর এক আধুনিক, অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের রাজনৈতিক চালিকাশক্তির কেন্দ্রস্থল।
এখানে আঘাত করা মানে গোটা বাংলাদেশ রাষ্ট্রের বুকে বিষবৃক্ষ রোপণের প্রয়াস করা।
বাঙালির বুকে বিগত একবছরে কম আঘাত হয়নি। ধানমণ্ডি ৩২ ভাঙা হয়েছে। তবে এবার গোপালগঞ্জ আর থামবে না।
এনসিপি নেতৃবৃন্দ, বিশেষত সার্জিস আলমের মত “মেটিকুলাস ডিজাইনার”পুত্ররা, মুখে জনদাবি আর পরিবর্তনের বুলি আওড়ালেও,অন্তরে বহন করছে ভয়ানক ষড়যন্ত্রের নীলনকশা।
তাঁর ভেরিফায়েড পেজে “মার্চ টু গোপালগঞ্জ” বাক্যটি কেবল এক স্ট্যাটাস নয়-এটা এক স্পষ্ট হুঁশিয়ারি,এক প্ররোচনামূলক কৌশল।
সকালে আওয়ামী লীগের হামলা ও প্রতিরোধের মুখে গোপালগঞ্জে পাল্টা লোক সমাগম করছে মহম্মদ ইউনুসের অনুগামীরা।
জাতীয় নাগরিক পার্টির নেতারা সদলবলে বরিশাল থেকে রওনা হয়েছেন। এছাড়া ঢাকা থেকে শত শত লোকজন গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় উদ্দেশে রওনা হয়েছেন।
অন্যদিকে, যুদ্ধাপরাধী জামাত নেতা দিলওয়ার হোসেন জাইদির পুত্র তারেক সাঈদের নেতৃত্বে একদল পিরোজপুর থেকে রওনা দিয়েছে।
মোতায়েন হচ্ছে বাড়তি পুলিশ ও সেনা। এনসিপি-জামাত-বিএনপির উদ্দেশ্য টুঙ্গিপাড়ায় শেখ মুজিবের সমাধি ভেঙে ফেলা।
বুধবার সকাল থেকেই অশান্তি চরমে উঠেছে। আওয়ামী লিগের প্রতিরোধের মুখে গাড়ি ছেড়ে পালায় পুলিশ।
আওয়ামী সমর্থকেরা পুলিশের গাড়ি ভাঙচুরের পর সেটিতে আগুন ধরিয়ে দেয়। পুলিশ সকাল সকাল অভিযান চালিয়ে আওয়ামী লিগ সমর্থকদের লাঠিচার্জ করে সরিয়ে দিতে গেলে তুমুল প্রতিরোধের মুখে পড়ে।
স্থানীয়দের আশঙ্কা, বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে গোলমাল বেড়ে যেতে পারে। রক্তারক্তির সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে না।
দেখা যাচ্ছে , গোপালগঞ্জ জেলার বিভিন্ন পয়েন্ট এ সাধারণ মানুষের প্রতিরোধ মিছিল ও অবস্থান।
বঙ্গবন্ধু, শেখ হাসিনা, আওয়ামী লীগের প্রশ্নে গোপালগঞ্জ বাসী আপোষহীন হয়ে দাঁড়িয়ে আছে!