গোপালগঞ্জ: ২০২৫ সালের জুলাই মাসে গোপালগঞ্জে সংঘটিত হত্যাকাণ্ড বাংলাদেশের ইতিহাসে রক্তাক্ত গণহত্যার কালো অধ্যায় হিসেবে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
এটি কোনো হঠাৎ উত্তেজিত জনতার সঙ্গে সংঘর্ষ নয় এটি রাষ্ট্রীয় বাহিনীর সুপরিকল্পিত, হিংস্র, প্রতিহিংসামূলক একটি অভিযান।
একটি জ্যান্ত শহরকে মৃত্যুপুরীতে রূপান্তর করেছে সেনাবাহিনী।
এদিন যেসব মানুষ সেদিন রাস্তায় নেমেছিলেন, তারা কেউ অস্ত্রধারী ছিলেন না।
তবে উস্কানি প্রথম থেকেই দিয়েছে টোকাই দল এনসিপি।
রাষ্ট্রই জনগণের দিকে অস্ত্র তাক করল। সেনা ও পুলিশ একযোগে নির্বিচারে গুলি চালিয়েছে।
শুধু তখনই নয়, পরেও অত্যাচার হয়। নিহতদের মরদেহ দ্রুত, গোপনে দাফন করা হয়। বহু লাশের কোনো ময়নাতদন্ত হয়নি, অনেক মরদেহ আত্মীয়-পরিজনের কাছেও ফিরিয়ে দেওয়া হয়নি।
১৬ জুলাই গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সমাবেশকে কেন্দ্র করে ঘটা সহিংসতায় গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়েছে বলে মনে করে আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক)।
সংস্থাটি জানিয়েছে, রাজনৈতিক সমাবেশে হামলার ঘটনা নাগরিকের সভা সমাবেশের অধিকারকে ক্ষুণ্ণ করেছে।
শুক্রবার (২৫ জুলাই) গণমাধ্যমে পাঠানো এক পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে আসক।
আসক জানিয়েছে, চলতি জুলাই মাসের ২১ ও ২২ তারিখ চার সদস্য একটি প্রতিনিধিদল সরেজমিন তথ্য সংগ্রহ করে।
আসক জানিয়েছে, ২১ জুলাই পর্যন্ত বিভিন্ন মামলায় ১৮ জন শিশুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। যাদের অনেককে সন্ত্রাস বিরোধী আইন, ২০০৯ এর আওতায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে।