ঢাকা: লাশের সংখ্যা কত? মহাজনের নতুন নাটক – লাশ যেন তার কাছে যেন একটা সংখ্যা মাত্র।
এখন বলছে ২৯!
কারণ
– কাল তো মিটিং করেছেই ৪ দলের সাথে, তারা বলেছে মহাজন সেরা, মহাজনের পাশে আছি।
– মহাজনের সাথে শিক্ষা উপদেষ্টা, আছে আসিফ নজরুল আর প্রেস সচিব।
– আর্মি পুলিশ সবাই বলেছে কিসের ছাত্র এরা সবাই একেকটা সংখ্যা, চিন্তা করবেন না।
তো লাশ গুম করার কারণটা কী? সেনা কেন লাশ গুম করলো? যদি দরকার না থাকে তো গুম কেন?
আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেল শত শিশুর স্বপ্ন, তাদের ছোট্ট স্কুলব্যাগ, নতুন বই আর রঙিন জামা!
শোকে পাথর হয়ে গেল বাবা–মা, পুরো দেশ যখন চোখের জলে ভিজে যাচ্ছে — ঠিক সেই মুহূর্তেই ইউনুস হাসছে ক্যামেরার সামনে!
কী বুঝলেন?
সেনাবাহিনীর লাশ গুম করা নিয়েই প্রথম প্রতিবাদটা হয়। এবং ছাত্রদের সাংবাদিকদের সাথে কথা বলতে দেয়া হয় না। মারধর করে সেনা।
মাইলস্টোন ট্র্যাজেডির পর কেন লাশ গুমের কথা উঠছে? নিশ্চয়ই এমনি নয়।
রাতভর অনেক পরিবার লাশ খুঁজেও পাচ্ছিল না।কেউ হাসপাতালে যাচ্ছে—কেউ পুলিশের কাছে, কেউ ফায়ার সার্ভিসে, কেউ মর্গে—তবুও মৃতদেহের হদিস নেই।
অনেক লাশ শনাক্তহীন ও ঝলসানো ছিল—ডিএনএ টেস্ট ছাড়া হস্তান্তর সম্ভব নয় বলেছে কর্তৃপক্ষ।
কিন্তু প্রশাসনের পক্ষ থেকে তথ্যদানে ঘাটতি, লাশের তালিকা প্রকাশে দেরি, এবং গোপনীয় আচরণ মানুষের মনে সন্দেহ তৈরি করেছে।”লাশ গুম করা হয়েছে।”
আর প্রেস সচিব শফিকুল তো একজন নাট্যকার, মিথ্যাবাদী।
জানিয়ে দিলেন, মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় হতাহতের সংখ্যা গোপনের কোনো ‘প্রয়োজন বা অভিপ্রায়’ সরকারের নেই বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
বুধবার সকালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেইসবুকে দেওয়া এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, “সরকারের পক্ষ থেকে হতাহতের সংখ্যা গোপন করার কোনো প্রয়োজন নেই। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও সেনাবাহিনী নিয়মিত তথ্য দিচ্ছে।”
তিনি আরও বলেন, “২০০২ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত মাঠ পর্যায়ের সাংবাদিকতার অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি—বাংলাদেশে হতাহতের প্রকৃত সংখ্যা গোপন রাখা প্রায় অসম্ভব।”
এই ব্যক্তি একের পর এক মিথ্যা বলেন। শফিকুল আলম জানান, কলেজে একটি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে, যেখানে নিহত-আহতের তথ্য নিয়মিত হালনাগাদ করা হবে।
তিনি বলেন, “এটি একটি জাতীয় ট্র্যাজেডি। আমরা নিহতদের শহীদ হিসেবে শ্রদ্ধা জানাই। ভবিষ্যতে এমন দুর্ঘটনা এড়াতে আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করতে হবে।”
তাঁর কথা ধরি মাছ না ছুঁই পানি। বড় সেয়ানা যাকে বলে! তবে এই ঘটনায় দেশের মানুষ ইউনূসকে মনে রাখবে এবং দেশে আগুন জ্বলছে।