ঢাকা: শিক্ষকরা তাঁদের মনের দুঃখ প্রকাশ করছেন বিভিন্ন মাধ্যমে। তাঁরা বলছেন, ‘শিক্ষকের মর্যাদা নিয়ে যে জাতি ভাবে না সে জাতি কি করে উন্নত হতে পারে! নিষ্পাপ শিশুদের পাঠ থেকে বঞ্চিত করার ইচ্ছে আমাদের নেই, কিন্তু সমাজে আমাদের নুন্যতম মর্যাদা না দিলে কর্মবিরতি নয়, প্রয়োজনে বিদ্যালয়ে তালা ঝুলাতে বাধ্য হব…!আশা রাখছি কর্তৃপক্ষ প্রাইমারি শিক্ষকদের পাশে থাকবেন….’

‘৩ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে আজ থেকে সারা দেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রায় ৩ লক্ষ শিক্ষক পূর্ণ দিবস কর্মবিরতি পালন করছে।দাবী আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমাদের কর্মসূচি চলমান থাকবে। কোমলমতি সোনামণিদের কথা বিবেচনা করে আশা করি উর্ধ্বতন খুব শীঘ্রই আমাদের দাবি মেনে নেবে’।

এবার সারাদেশে পূর্ণদিবস কর্মবিরতি শুরু করেছেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকবৃন্দ। ‘সহকারী শিক্ষক সংগঠন ঐক্য পরিষদ’- এর ডাকে আজ, সোমবার থেকে শুরু হওয়া এই আন্দোলন অনির্দিষ্টকালের জন্য চলবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষক নেতারা।

এই আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের প্রচুর ক্ষতি হবে। তিন দফা দাবিতে এই কর্মসূচির ফলে সারাদেশের ১ কোটির বেশি শিশু শিক্ষার্থীর শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হবে।

শিক্ষকদের মূল দাবিগুলো হলো- সহকারী শিক্ষক পদকে শুরুর পদ হিসেবে ১১তম গ্রেডে বেতন নির্ধারণ, ১০ বছর, ১৬ বছর পূর্তিতে উচ্চতর গ্রেড প্রাপ্তির জটিলতা নিরসন এবং প্রধান শিক্ষক পদে শতভাগ দ্রুত পদোন্নতি।

শিক্ষকরা বাধ্য হয়েই এই কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন। শিক্ষকরা কোনোভাবেই চাননি ছাত্রদের পড়াশোনা ক্ষতি হোক। সহকারী শিক্ষক সংগঠন ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক মোহাম্মদ শামছুদ্দীন জানিয়েছেন, সরকারের পক্ষ থেকে তাদের দাবির বিষয়ে কোনো গুরুত্ব না দেওয়ায় এবং আলোচনার উদ্যোগ না নেওয়ায় তারা বাধ্য হয়ে এই কর্মসূচিতে গেছেন। তারা শিক্ষার্থীদের শিখন কার্যক্রম ক্ষতিগ্রস্ত করতে চাননি।সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এমনিতেই পড়াশোনায় অনেক পিছিয়ে। এখন এই পরিস্থিতিতে অভিভাবকরাও খুব চিন্তিত।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *