ঢাকা: নশ্বর দেহ একদিন বিলীন হবেই। তবে অমর তাঁরাই যাঁদের নাম যুগে যুগে মানুষের মনে থাকে, মুখে মুখে উচ্চারিত হয় নাম।

তবে এখন দেশে চলছে রাজাকারের সময়। রাজাকারের শাসন। তাই তাঁকে মনে রাখার মানুষ কম।

‘মৃত্যুরে কে মনে রাখে
কীর্তিনাশা খুঁড়ে কাটে বারোমাস’ আজ দেশের প্রখ্যাত ও প্রয়াত সাংবাদিক কমরেড নির্মল সেনের জন্মদিন।

নির্মল সেন ১৯৩০ সালের ৩ আগস্ট গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার দিঘীরপাড় গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। ২০১৩ সালের ৮ জানুয়ারি তিনি মারা যান।

এই ত্যাগী, সাংবাদিক ও রাজনীতিককে কেউ কি মনে রেখেছে? দেশের অধিকাংশ কাগজ তাঁর লেখায় ঋদ্ধ হতো। সেসব কাগজও তাঁকে ভুলে গেল।

সাংবাদিকতার ইতিহাসে এমন সাহসী মানুষ ইতিহাসে বিরল। এমন সাহসী মানুষকে মনে রাখার মতো সাহসী মানুষ কৈ?

স্বাধীনতা পরবর্তীতে অরাজক পরিস্থিতিতে তিনি দৈনিক বাংলায় লিখেছিলেন আমি স্বাভাবিক মৃত্যুর গ্যারান্টি চাই, তাঁর সেই লেখা বর্তমানেও প্রাসঙ্গিক ।

তিনি নিজে কোনদিন কোন পুরষ্কার নেন নি, তাঁর মৃত্যুর পরও তাঁকে যেন কোন পুরষ্কার না দেয়া হয় তা তিনি লিখে গেছেন এবং তাঁর মৃতদেহ মেডিকেল গবেষণার জন্য দান করে গেছেন ।

গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলায় বিশিষ্ট সাংবাদিক, কলামিস্ট, বাম রাজনীতির পুরোধা,বীর মুক্তিযোদ্ধা ও লেখক নির্মল সেনের ৯৫তম জন্মদিন পালিত হয়েছে।

আজ রবিবার (৩আগস্ট) সাংবাদিক নির্মল সেনের জন্মদিন উপলক্ষে কোটালীপাড়া উপজেলা পরিষদ হলরুমে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে আলোচনা সভা এবং কেক কাটা হয়।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মাসুম বিল্লাহ্ সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় উপজেলা সিনিয়র মৎস্য অফিসার শাহজাহান সিরাজ, উপজেলা বিএনপির সভাপতি এস এম মহিউদ্দিন,সাধারণ সম্পাদক আবুল বশার হাওলাদার,পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ওলিউর রহমান হাওলাদার,সাংবাদিক এইচ এম মেহেদী হাসানাত,রতন সেন কংকন,মিজানুর রহমান বুলু,গৌরাঙ্গ লাল দাস,মাহাবুব সুলতান,মনিরুজ্জামান জুয়েল,রনী আহম্মেদ বক্তব্য রাখেন।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *