ঢাকা: দুর্গা পূজার আনন্দে মিশেছে সনাতনীরা। কচিকাঁচাদের আনন্দই সবচেয়ে বেশি।

শারদীয় দুর্গোৎসবের পবিত্র সূচনা হচ্ছে আজ শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) দেবীর বোধনের মধ্য দিয়ে। মণ্ডপে মণ্ডপে দুর্গা মা এসেছেন তাঁর সন্তানদের নিয়ে।

এই বোধনের মধ্য দিয়েই দুর্গাপূজার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে, আর মূল পূজার কার্যক্রম শুরু হবে আগামিকাল রবিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) , মহাষষ্ঠীর মাধ্যমে।

বাংলার ঘরে ঘরে এখন উৎসবের আমেজ। মণ্ডপগুলোতে সাজসজ্জার শেষ প্রস্তুতি চলছে।

এবার দেবী দুর্গার আগমন ঘটছে গজে, অর্থাৎ হাতির পিঠে। শাস্ত্র মতে, দেবীর হাতিতে আগমন শুভ লক্ষণের প্রতীক। পৃথিবীতে বয়ে আনে শস্য-সমৃদ্ধি ও শান্তি। তবে মর্ত্য ত্যাগে দেবী দোলায়, অর্থাৎ পালকিতে চড়বেন যা কিছুটা অস্থিরতা বা পরিবর্তনের ইঙ্গিত বহন করে।

আশ্বিন মাসে প্রায় দশ দিন ধরেই দুর্গাপুজোর উৎসব পালিত হয়। যদিও প্রকৃত অর্থে, উৎসব শুরু হয় ষষ্ঠীর দিন থেকে।

একটি দুর্গা পূজা সামাল দেয়া তো চাট্টিখানি কথা নয়। এই যে পঞ্চমী থেকে শুরু করে দশমী অবধি সব আয়োজন সামলানো খুব চাপের এবং সবকিছু যেহেতু সুচারুভাবে পরিচালনা করতে হয় তাই চাপ তো থাকবেই।

প্রতিমা সাজানো, আলোকসজ্জা, ধূপ-ধুনো, ঢাক-ঢোল সব মিলিয়ে এক ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক মিলনমেলা এই দুর্গাপূজা।

হিন্দু ধর্মীয় বিশ্বাস অনুযায়ী, বোধন মানে দেবী দুর্গাকে জাগ্রত করা। বিভিন্ন পুরাণ মতে, রামায়ণে ভগবান রামচন্দ্র শরৎকালে রাবণ বধের উদ্দেশ্যে অকালে দেবী দুর্গার আরাধনা করেন। সেই থেকে শরতের দুর্গাপূজাকে অকালবোধনও বলা হয়।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *