ঢাকা: পিটার হাসের সাথে গোপন বৈঠক নিয়ে এনসিপি ধূম্রজাল সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে।তবে শাক দিয়ে মাছ ঢাকা যায় না। মাছ নড়েচড়ে!
এনসিপির সারাদেশের নেতাকর্মীরা ঢাকায়, আর শীর্ষ নেতারা কক্সবাজারে, যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক রাষ্ট্রদূত পিটার হাস’র সাথে চলেছে গোপন বৈঠক।
কক্সবাজারের রয়েল টিউলিপ হোটেলের (যেটি সি পার্ল বিচ রিসোর্ট হিসেবেও পরিচিত) একটা কক্ষে গোপন বৈঠক করেছেন এনসিপির হাসনাত আব্দুল্লাহ, সারজিস আলম, নাসিরুদ্দিন পাটওয়ারী, এবং তাসনিম জারা, খালেদ সাইফুল্লাহ।
৫ আগস্ট তাদের এই গোপন বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়েছে বাংলাদেশের রাজনীতির রহস্য পুরুষ, সাবেক মার্কিন অ্যাম্বাসেডর পিটার হাস এর সাথে।
কোন ষড়যন্ত্রের জাল বুনেছেন তাঁরা? এই নিয়ে সারা দেশ তোলপাড়।
৫ আগষ্ট ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার দেশত্যাগের দিন। টোকাইদের কাছে তো অনেক গুরুত্বপূর্ণ দিন। তাহলে এই কয়জন কক্সবাজার কেন? ঘুরতে?
নাকি দেশ বিক্রির অভিসন্ধি করতে? নির্বাচন নিয়ে তালগোল পাকাতে?
আর এই টোকাইরা কেন গেছে কক্সবাজার সেটা জানে না তাদের দল? মগের মুল্লুক?
ষড়যন্ত্র- অপকর্ম ঢাকতে কত তামাশাই যে করছে জঙ্গী টোকাই বাহিনী এনসিপি!
এখন দেখছে সারা দেশ দেখে ফেলেছে এরা কী করেছে, এখন শোকজ দিয়ে তামাশা শুরু করেছে!
আজ তাদেরকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
নোটিশ পাওয়া নেতারা হলেন— এনসিপির মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আবদুল্লাহ, মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম, এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী, দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্য সচিব ডা. তাসনিম জারা ও যুগ্ম আহ্বায়ক খালেদ সাইফুল্লাহ।
কক্সবাজার সফরে এই পাঁচজনের সঙ্গে ছিলেন সারজিস আলমের স্ত্রীও। আর খালেদ সাইফুল্লাহ তাসনিম জারার স্বামী।
এনসিপি নেতারা বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে (ইএ-৪৩৩) ঢাকা থেকে কক্সবাজার পৌঁছান। এরপর দ্রুত তারা বিমানবন্দর থেকে বেরিয়ে যান। এ সময় তাদের কয়েকজনের মুখে মাস্ক ছিলো।
নোটিশে বলা হয়, সফর সম্পর্কে ‘রাজনৈতিক পর্ষদ’কে পূর্বে কোনো তথ্য বা ব্যাখ্যা প্রদান করা হয়নি।
এনসিপির যুগ্ম সদস্যসচিব (দপ্তর) সালেহ উদ্দিন সিফাত স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সংশ্লিষ্ট নেতাদের আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আহ্বায়ক মো. নাহিদ ইসলাম ও সদস্যসচিব আখতার হোসেনের কাছে সশরীরে উপস্থিত হয়ে লিখিত ব্যাখ্যা প্রদান করতে হবে।