ঢাকা: ব্লগার, বিজ্ঞান লেখক অভিজিৎ রায় হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত শফিউর রহমান ফারাবীকে জামিন দিয়ে দিলো হাইকোর্ট।
রিসেট বাটনে চাপ দিয়েছেন তো ইউনূস, তার ফল এটা।
রাজাকার সন্তান তথা বিচারপতি জাকির হোসেনের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ বুধবার (৩০ জুলাই) এ আদেশ দেয়।
বিজ্ঞানমনস্ক ব্লগার ও লেখক অভিজিৎ রায়’কে ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ সালে বইমেলা প্রাঙ্গণে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। সঙ্গে ছিলেন তাঁর স্ত্রী রাফিদা বন্যা,যিনি গুরুতর আহত হন।
হত্যার দায় স্বীকার করেছিল নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন আনসারুল ইসলাম (আনসারুল্লাহ বাংলা টিম)।
হত্যা মামলার বিচার শুরু: ২০১৯ সালে।
রায় ঘোষিত হয়: ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২১।
সাজা: ৫ জনের মৃত্যুদণ্ড, ১ জনের যাবজ্জীবন।
ফারাবীর জামিন: ৩০ জুলাই,২০২৫।
কিন্তু ২০২৪ ও ২০২৫ সালে খুনিদের মধ্যে কয়েকজন জামিনে মুক্ত হয়ে যায়।
বাংলাদেশের ফৌজদারি আইনে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত কিংবা গুরুতর অপরাধের আসামির জামিন পাওয়ার সুযোগ তো অতি সীমিত,তবুও কীভাবে তারা জামিন পেল?
এসব প্রশ্ন মনে হয় এখন আর সাজে না! কারণ ইসলামী জঙ্গীরা একদম মসনদে বসে দেশ চালাচ্ছে। এখানে মানুষের ঠাঁই নাই।
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন অনুযায়ী,বিচারপূর্ব মুক্তি বা জামিন একটি অধিকার হতে পারে! কিন্তু যদি আসামি হত্যাকারী হয়,প্রমাণিত হয় ও সমাজের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হয়, তবে জামিনের সুযোগ নেই।
তবে রাজাকার সন্তানরা বিচারকের আসনে বসা থাকলে তখন আর কী করার থাকবে?
রাষ্ট্র তো একদম সরাসরি খুনিদের জামিন দিয়ে মৌলবাদকে ছাড় দিচ্ছে! একে কি বিচার নামে প্রহসন বলা যায় না?
রিসেট বাটন পুশ তত্ত্বের নতুন বাংলাদেশ!
মৃত্যুদণ্ডাদেশ প্রাপ্ত কুখ্যাত যুদ্ধাপরাধীদের খালাস আদেশ, হত্যাকারী যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত জঙ্গি জামিন পায়, আর সাবেক প্রধান বিচারপতির রিমান্ড আদেশ হয়! এই বাংলাদেশে!
অভিজিৎ হত্যার পেছনে ফারাবি ছিল। সে-ই জঙ্গিদের উদ্বুদ্ধ করেছিল অভিজিৎকে হত্যা করার জন্য। সে জঙ্গিদের বস। একে জামিন দিয়েছে জামাতি জিহাদি জঙ্গি সমর্থিত সরকার।
সারা বিশ্ব দেখলো জঙ্গিদের সাথে ইউনুসের মাখামাখি কতটুকু।
২০১৩ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি রাতে রাজধানীর কালশীর পলাশনগরে নিজ বাড়ির সামনে ব্লগার রাজীব হায়দারকে কুপিয়ে হত্যার মাধ্যমে ব্লগার হত্যা শুরু হয়।
আওয়ামী লীগের আমলে ২০১৩ সাল থেকে ২০১৬ সালের মধ্যে কমপক্ষে ১১ ব্লগার, লেখক, প্রকাশক, সাংস্কৃতিক ব্যক্তি, ট্রান্সজেন্ডার অধিকার কর্মীকে হত্যা করে জঙ্গিরা।
তদন্তে জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলাম এই অধিকাংশ হত্যাকাণ্ডের জন্য দায়ী বলে জানায় পুলিশ। এসব জঙ্গিদের অনেকেই ধরা পড়ে কারাগারে আটক ছিলো।
যারা শেখ হাসিনার পতনের পর জামিনে বেরিয়ে এসেছে নির্দ্বিধায়।
ফারাবীর পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এস এম শাহজাহান। তার সঙ্গে অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ হুজ্জাতুল ইসলাম খান।
শুনানিতে ফারাবীর আইনজীবীরা আদালতকে জানান, তাকে কেবলমাত্র ভুল পর্যবেক্ষণের ভিত্তিতে দণ্ডিত করা হয়েছে।
অভিজিৎ রায় সকল ধর্মের বিরুদ্ধে, সকল ধর্মগুরুর বিরুদ্ধেই লিখতেন। লিখতেন যুক্তি প্রমাণ তথ্য উপাত্ত দিয়ে। সে তথ্যগুলো অস্বীকার করার স্পর্ধা বা সাহস কারোর ছিল না।
যুক্তি দিয়ে তাকে পরাজিত করার সামর্থ্য কারো ছিল না। তাই জঙ্গীরা চাপাতি দিয়ে তাকে কুপিয়েছে।