নাটোর: শিক্ষক ধর্ষণ করছে ছাত্রীকে, মাদ্রাসায় প্রতিদিন ধর্ষণের শিকার ছোট বাচ্চারা, ভাই ধর্ষণ করছে বোনকে! এ কোন সমাজে এসে পড়লাম আমরা? নারীর নিরাপত্তা কোন জায়গায় আছে?
সব জায়গায় নারীকে দেখা হয় কেবল মাংসপিণ্ড হিসেবে। ভোগ্য বস্তু হয়েছে নারী। তাঁকে যখন ইচ্ছা ভোগ করা যায়। রাষ্ট্র, আদালত লোকদেখানো কাজ করে। আড়ালে আড়ালে দোষীর শাস্তি মওকুফ হয়ে যায়।
এইবার নাটোরে ছাত্রীকে অপহরণ ও ধর্ষণের মামলায় দুটি পৃথক ধারায় প্রধান শিক্ষক ফিরোজ আহমেদকে ১৪ বছর এবং যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছে আদালত।
মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক মোহা. মহিদুজ্জামান অপহরণের দায়ে ১৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং ধর্ষণের দায়ে সশ্রম যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় দেয়।
এই রায় ঘোষণার সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে তাঁকে কারাগারে নেয়া হয়।
ঘটনাটি ২০২২ সালের। জানা গেলো, ২০২২ সালের ১ অক্টোবর এসএসসির ব্যবহারিক পরীক্ষা শেষে নাটোরের নজিরপুর মরিয়ম মেমোরিয়াল বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন এই পরীক্ষার্থী।
আর ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফিরোজ আহমেদ পরীক্ষায় বেশি নম্বর দেয়ার কথা বলে ছাত্রীকে নিয়ে রাজশাহীর এক আত্মীয়ের বাড়িতে যান।
আর সেখানেই তাকে আটকে রেখে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে বহুবার ধর্ষণ করেন।
ধর্ষণের ঘটনায় সেদিন রাতে শিক্ষক ফিরোজ আহমেদসহ তিনজনকে অভিযুক্ত করে গুরুদাসপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন ছাত্রীর মা। র্যাব ফিরোজ আহমেদকে গ্রেফতার করে।
পুলিশ জানায়, তদন্ত করে তিনজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেয় পুলিশ। চার্জ গঠনের সময় বিচারক দুজনকে অব্যাহতি দিয়ে একমাত্র আসামি হিসেবে ফিরোজের বিচার কাজ শুরু করেন।
