ঢাকা: ধর্মীয় উগ্রবাদীরা প্রতিমা ভেঙে সনাতনীদের ইতিমধ্যেই শারদীয় শুভেচ্ছা জানিয়ে দিয়েছে। দুর্গা পূজা আসবে, আর ভাঙচুর হবে না এ তো হয় না বাংলাদেশে।
যেমন শেখ হাসিনার সময় হয়েছে, তার থেকে বেশি হচ্ছে ইউনূসের শাসনে। তিনি উস্কে দিচ্ছেন জঙ্গীদের। আবার এইদিকে হাসিমুখে সনাতনীদের মন্দিরে প্রবেশ করে কুশল বিনিময় করছেন।
তাঁর মতো রং পাল্টাতে আর কোনো রাজনীতিবিদ পেরেছেন কিনা, সন্দেহ আছে।
সনাতনীরা অত্যাচারিত, একথা তিনি মানতে নারাজ। অথচ প্রতিদিন দেখা যাচ্ছে, মূর্তি ভাঙা, ঘরবাড়ি পোড়ানো, হিন্দু নিধন। এগুলো কে করে? ইউনূসের পেয়ারারাই তো?
হিন্দু নির্যাতন নিয়ে একাধিক অভিযোগের মাঝে এবার বড়সড় দাবি তুলল সংখ্যালঘুদের মহাজোট। পুজোর সময় তিনদিন সরকারি ছুটি ঘোষণার দাবি বাংলাদেশের জাতীয় হিন্দু মহাজোট।
শুক্রবার ঢাকার প্রেস ক্লাবে ‘দুর্গাপূজায় নিরাপত্তা ও হিন্দু সম্প্রদায়ের ভাবনা’ সংক্রান্ত এক আলোচনাসভায় ইউনুসের অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে একগুচ্ছ দাবি পেশ করেন মহাজোটের সদস্যরা।
এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য পুজোয় তিনদিন ছুটি, পুজোমণ্ডপগুলির নিরাপত্তায় সিসিটিভি লাগানো, সেনার প্রহরা। এছাড়া সামগ্রিকভাবে নিরাপত্তার বিষয়টি দেখার জন্য কেন্দ্রীয় মনিটারিং সেল গঠনের দাবিও জানাল হিন্দু মহাজোট।
আগামিকাল মহালয়া। তারপর থেকেই দুর্গোৎসবের আবহ। তবে হিন্দুদের মনে আতঙ্ক। সর্বদা কী হয় কী হয় ভাব!
আসন্ন দুর্গাপূজা উপলক্ষে অষ্টমী, নবমী ও দশমী–এই তিন দিন সরকারি ছুটিসহ ৪ দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোট।
তবে ক্যামেরা লাগালেই কী না লাগালেই কী, প্রতিমা যদি ইউনূসের সামনেও ভাঙা হয় তবুও কোনো ব্যবস্থা হবে না!
গোলটেবিল আলোচনায় লিখিত বক্তব্যে মহাজোটের মুখপাত্র পলাশ কান্তি দে বলেন, হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা পাঁচ দিনব্যাপী হলেও বর্তমানে মাত্র দুদিন সরকারি ছুটি থাকে।
এর ফলে অনেকেই পরিবার-পরিজনের সঙ্গে পূজার আনন্দ উপভোগ করতে পারেন না বা ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান পালনে সমস্যা হয়। তিনি সরকারের কাছে অবিলম্বে দুর্গাপূজায় তিন দিন ছুটির ব্যবস্থা করার অনুরোধ জানান।
শঙ্কা প্রকাশ করে তিনি বলেন, পূজা ঘিরে সাম্প্রদায়িক হামলার ঝুঁকি রয়েছে। বিগত বছরগুলোতে পূজার আগে ও পরে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে।
এরইমধ্যে এবার চারটি জেলায় প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। নির্বাচনের সময় ঘনিয়ে আসায় এবার পূজামণ্ডপ ও হিন্দু সম্প্রদায়ের স্থাপনা সাম্প্রদায়িক শক্তির লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হতে পারে।