কুমিল্লা: কুমিল্লার মুরাদনগরে হিন্দু নারীর ধর্ষণ এবং বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণের ঘটনা গোটা দেশকে আন্দোলিত করেছে।
জঘন্য, পৈশাচিক কাণ্ড ঘটিয়েছে বিএনপি নেতা।
২৫ বছর বিবাহিত হিন্দু মহিলাকে জোর পূর্বক ধর্ষণ করেন উপজেলার রামচন্দ্রপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের বাহেরচর পাচকিত্তা গ্রামের একজন বিএনপি নেতা।
বাইরে থেকে ডাকাডাকি করে দরজা না খোলায় দরজা ভেঙে জানোয়ারের মতো আছড়ে পড়ে মহিলাকে ধর্ষণ করে এবং তারপর বিবস্ত্র অবস্থায় মহিলার ভিডিও ধারণ করে ফেসবুকে ছেড়ে দেয় তার ভাই শাহ পরাণ।
এখানে শুধু একজন নারীকে ধর্ষণ করেনি। ধর্ষণ করেছে পুরো বাংলাদেশের “মা” জাতিকে।
তবে এই ঘটনাটিকে অন্য পথে ঘোরানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। যথারীতি যেমন করা হয়। যেহেতু বিএনপি র নাম জড়িয়ে গেছে, এবং বিএনপি, জামাতের র ধর্মই ধর্ষণ, খুন, সন্ত্রাস।
ফলে ঘটনাটিকে প্রায় অন্যদিকে মোড় ঘোরানোর চেষ্টা করা হচ্ছে এটা বোঝানোর জন্য যে হিন্দুরা এই দেশে নিরাপদে আছে।
র্যাবের তথ্য, কুমিল্লার মুরাদনগরে হিন্দু সম্প্রদায়ের এক নারীকে ‘ধর্ষণের’ ঘটনার মূল আসামি ফজর আলীকে ‘শায়েস্তা করতে’ তার ছোটভাই শাহ পরাণই সেদিন ‘মব তৈরির পরিকল্পনা’ সাজিয়েছিলেন।
কিন্তু বড় ভাইকে শায়েস্তা করার জন্য একজন নারীকে কেন বেছে নেয়া হলো?
হিন্দু নারী ধর্ষণ করেছে বিএনপি নেতা, এই তথ্যটাকেই ঘুরিয়ে দেয়ার চেষ্টা চলছে দুই ভাইয়ের দ্বন্দ্ব দেখিয়ে।
ঘটনায় এখন পর্যন্ত ফজর আলী, তার ভাই শাহ পরাণসহ ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তবে যে নারকীয় ঘটনা ঘটে গেলো, তাতে প্রকৃত অপরাধীর শাস্তি হবে কিনা, তা নিয়ে সন্দেহ যথেষ্ট।
কথা বলে বলেই সময় পার করা হবে ইউনূসের শাসনে, আর অপরাধী কবে শাস্তি পাবে?