বরগুনা: আর কত ধর্ষণ হলে সরকার হবে উদ্দীপ্ত?
বরগুনার আমতলীতে হিন্দু নারীর ধর্ষণ ঘিরে ফের আতঙ্কের পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে।
উক্ত নারীকে ধর্ষণ এবং সনাতনীদের দেশ ছাড়া করার হুমকির প্রতিবাদে জগন্নাথ হলের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল করে।
বরগুনার আমতলীতে দুই দফায় ধর্ষণের শিকার হয়েছেন এক হিন্দু গৃহবধূ (৩৮)। জঘন্য অবস্থা দেশের।
ধর্ষণের ঘটনায় মামলা করে পরিবার নিয়ে তিনি পড়েছেন বিপাকে। আসামিদের পরিবারের হুমকিতে তিনি আশ্রয় নিয়েছেন নিকটাত্মীয়ের বাড়িতে।
শিশু-কিশোর বয়সী দুই ছেলে নিয়ে ওই নারীর স্বামীও বাড়িতে যেতে ভয় পাচ্ছেন।
ভুক্তভোগী পরিবারটি এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। ওই ঘটনায় মামলা করার পর দুই আসামিকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তারের পর আদালত থেকে ইমরান জামিনে বেরিয়ে আসায় পরিবারটিতে আতঙ্ক আরো বেড়েছে।
উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নের ছোনাউটা গ্রামের নজরুল ইসলাম হাওলাদারের ছেলে সাইফুল ইসলাম হাওলাদার এবং মো. ইমরান হাওলাদার একই গ্রামের হিন্দু সম্প্রদায়ের এক গৃহবধূকে গত ২৩ ও ২৯ অক্টোবর দুই দফায় ধর্ষণ করে।
এই পৈশাচিক কাজ করার জন্যে এরা ওৎ পেতেই ছিলো।
আর ওই সময় ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করে ইমরান হাওলাদারের ছোট ভাই ইমরাজ হাওলাদার (২২)।
ধর্ষণ করে, আবার আসামিরা ধর্ষণের ওই ঘটনা কাউকে জানালে ধারণকৃত ভিডিও ফেসবুকে ছেড়ে দেওয়া হবে বলে ভুক্তভোগী গৃহবধূকে শাসিয়ে চলে যায়। এই হচ্ছে এদের কাজ।
গৃহবধূর ওপর চালানো নির্যাতনের বিভীষিকাময় বর্ণনা পাওয়া যায়। ভুক্তভোগীর স্বামী পেশায় কৃষক। এ দম্পতির শিশু-কিশোর বয়সী দুটি ছেলে রয়েছে।
ভুক্তভোগী বলেন, ‘বাড়িতে আমাকে একা পেয়ে হাত-পা বেঁধে ফেলে সাইফুল ও ইমরান। পরে হত্যার হুমকি দিয়ে নির্যাতন চালায়। তাদের ভয়ে ও লোকলজ্জায় কাউকে এ ঘটনা জানাইনি।’
অভিযোগ উঠেছে, মামলার পর গ্রেপ্তার হওয়া এক আসামি দ্রুত জামিনে মুক্তি পাওয়ায় আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাসান-এর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে এবং সামাজিক মাধ্যমে স্থানীয় সনাতন ধর্মাবলম্বীরা তার প্রত্যাহার দাবি করেছেন।
