ঢাকা: কী ষড়যন্ত্রটাই না চলছে সনাতনী, ইস্কনের বিরুদ্ধে। অথচ সনাতনীরা দেশে কারো ভাতের থালা কেড়ে নেয়নি, বরং তাদের থালাই কেড়ে নেয়া হয়েছে।
যারা ইস্কনকে মনে প্রাণে ধারণ করে তাঁরা আজীবন নিরামিষ খেয়ে পার করে যেন সামান্য মুরগি বা ছাগলের হত্যা করা না হয়। আর ষড়যন্ত্রকারীরা বলছে, ইস্কন মানুষ হত্যা করছে?
“একটা একটা ইস্কন ধর, ধইরা ধইরা জবাই কর।” এই স্লোগান উঠছে বাংলাদেশে। এর শেষ কোথায়?
মাদ্রাসায় তো অহরহ, বলা যায় প্রতিদিন ধর্ষণের ঘটনা ঘটে, তাই বলে কি সনাতনীরা, মুক্ত চিন্তার লোকেরা সব হুজুর বা মাদ্রাসার শিক্ষকদের জবাই করার জন্য রাস্তায় নামবে?
এই যে মুফতি মহিবুল্লাহ যে কাজটা করলেন সাজিয়ে, অথচ খুব নির্বোধভাবে, কী লাভ হলো দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করে? লাভের মধ্যে লাভ, হিন্দুদের বিরুদ্ধে আরো এক পা উস্কে দেয়া গেছে।
গাজীপুরের টঙ্গীর টিঅ্যান্ডটি বিটিসিএল কলোনি জামে মসজিদের খতিব মুফতি মোহাম্মদ মহিবুল্লাহ মিয়াজীর অপহরণ নাটকের ঘটনা ঘিরে হিন্দুদের মধ্যে প্রবল উদ্বেগ-শঙ্কার সৃষ্টি হয়েছে।
একথা জানিয়েছে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ ও মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটি।
মঙ্গলবার রাতে এক যৌথ বিবৃতিতে সংগঠন দুটি এ উদ্বেগ জানায়।
বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে, মহিবুল্লাহ মিয়াজীর ঘটনাকে কেন্দ্র করে হিন্দু ধর্মীয় আন্তর্জাতিক সংগঠন ইসকনকে নিষিদ্ধের দাবি তোলার পাশাপাশি সংখ্যালঘু বিশেষ করে হিন্দুদের ওপর হামলা, হত্যা, মন্দির ও প্রতিমা ভাঙচুর এবং দেশছাড়া করার হুমকি দেওয়া হচ্ছে। এর ফলে এ সম্প্রদায়ের মানুষের মধ্যে গভীর উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, এরই মধ্যে প্রশাসন এ ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটন করেছে। কীভাবে এ ঘটনা ঘটেছে, তাও তিনি বিস্তারিত তুলে ধরেছেন। পুলিশের বয়ানেও প্রকৃত তথ্য উঠে এসেছে। যাতে প্রমাণিত হয়, ইসকন বা কোনো হিন্দু সংগঠনের কেউ এ ঘটনায় জড়িত নন।
খতিব ইচ্ছাকৃতভাবে সনাতনীদের ভিলেন বানাবার জন্য এই নাটকটা সাজিয়েছেন।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ভিত্তিহীন এ ধরনের ঘটনাকে সামনে রেখে অতীতেও সাম্প্রদায়িক পরিস্থিতি সৃষ্টি করা হয়েছে, যার জন্য সহিংসতার শিকার হতে হয়েছে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে।
সংগঠন দুটি অবিলম্বে এ ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।
