ঢাকা: বাংলাদেশে গত ১২ মাসে এত খুন, ধর্ষণ, চাঁদাবাজি আরো যত অপকর্ম আছে হয়েছে, তার কয়টার বিচার হয়েছে?

হিংস্র জানোয়ারগুলো প্রকাশ্যে দিনের আলোতে সাধারণ মানুষকে হত্যা করছে বিগত দিনে এমন শত শত ভিডিও ফুটে আছে কিন্তু কয়টা খুনের বিচার হয়েছে দেশে?

কয়জন আসামিকে সাজা কার্যকর করা হয়েছে? কয়জন সাধারণ মানুষ ন্যায় বিচার পেয়েছে?

এই খুনের জন্য শতভাগ অন্তর্বর্তী সরকার দায়ী। সরকার মবের নামে মানুষ হত্যা,নির্যাতনকে প্রশ্রয় দিয়েছে।

কয়টা মবের নামে মানুষ হত্যা ও নির্যাতনের বিচার হয়েছে বা অপরাধীর সাজা হয়েছে? সরকার চায়না মব বন্ধ হোক।

অথচ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার উপদেশমূলক কথা শুনলে মনে হবে বাংলাদেশে গণতন্ত্র টগবগ করছে। বিচারে বিচার! মানুষের কষ্ট নেই, সবাই সুখী। ফিনল্যান্ডকেও ছাড়িয়ে গেছে সুখী দেশের তালিকায়।

দেখি স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা কী উপদেশ দিলেন:

দেশের কোথাও কোনো ধরনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড ঘটলে সরকার ‘সঙ্গে সঙ্গে অ্যাকশন’ নিচ্ছে। বললেন এই মিথ্যাবাদী ভুয়া উপদেষ্টা ।

মিটফোর্ড হাসাপাতালের সামনে ব্যবসায়ী হত্যা, বিমানে বোমা থাকার উড়ো খবরসহ চাঁদপুরে মসজিদের ভেতরে কুপিয়ে জখম ঘটনায় আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর ‘তৎপরতার’ উদাহরণ তুলে ধরে এই কথা বলেছেন তিনি।

শনিবার ঢাকার গেন্ডারিয়ায় মিলব্যারাক পুলিশ লাইনসের ঢাকা রেঞ্জ রিজার্ভ ফোর্স পরিদর্শনে গিয়ে সাংবাদিকদের কথা বলছিলেন জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “ঢাকার যে হত্যাকাণ্ড এইটা খুবই দুঃখজনক একটা ঘটনা। এইটার জন্য আমরা অলরেডি পাঁচজনরে আইনের আওতায় নিয়ে আসছি। গতকালকে র‍্যাব দুইজন ধরছে, ডিএমপি দুইজন ধরছে, আজকে একজন ধরছে।

“আমাদের ডিবির টিমগুলি অলরেডি বিভিন্ন জায়গায় আছে, বাকি যারা আছে তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসার জন্য।”

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার ভাষ্য, “আমরা কিন্তু খুব অসহিষ্ণু হয়ে গেছি। আমাদের সমাজের সব শ্রেণি, সবারই একটু আগায়ে আসতে হবে এই জিনিসটা বন্ধ করার জন্য।”

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *