ঢাকা: দুর্গা পূজা তো বাংলাদেশে হওয়া না হওয়া সমান হয়ে গেছে। মৌলবাদী মুসলমানদের জন্য সনাতনীরা শান্তিতে নেই। ভয়াবহ অবস্থা। প্রতিমা ভাঙচুর তো শুরু হয়েই গেছে।
তার মধ্যে এবার স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা পূজা মণ্ডপ নিয়ে এক ভয়ঙ্কর মিথ্যা তথ্য প্রচার করেছেন। তিনি দাবি করেছেন—পূজা মণ্ডপে নাকি মদ ও গাঁজার আসর বসে!
এসব মিথ্যে কথা বরং হিন্দু ধর্মীয় অনুভূতিকে গভীরভাবে আঘাত করেছে। এটি ধর্মীয় বিদ্বেষ উসকে দেওয়া ছাড়া আর কিছুই নয়।
অবৈধ উপদেষ্টার এই বক্তব্য সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রতি চরম অবমাননা ও বিদ্বেষের প্রকাশ। সনাতন ধর্মাবলম্বী লোকেরা দাবি করছেন, অবিলম্বে হিন্দু সম্প্রদায়ের কাছে প্রকাশ্যে দুঃখ প্রকাশ ও ক্ষমা প্রার্থনা করুন উপদেষ্টা।
এই দেশ কারও একার নয়—ধর্ম নিয়ে মিথ্যাচার ও অপমানের রাজনীতি কোনোভাবেই বরদাস্ত করবো না! বলছেন তাঁরা।
বাংলাদেশ একটি ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র এটাই মুক্তিযুদ্ধের অঙ্গীকার। কিন্তু আজ সেই অঙ্গীকার ভেঙে চুরমার করছে অবৈধ ইউনুস সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।
পূজা মানে ভক্তি, প্রার্থনা, আনন্দ আর উৎসব। অথচ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জনগণের ধর্মীয় আবেগকে আঘাত করে ইঙ্গিত দিয়েছেন—পূজা মানেই নাকি মদ ও গাঁজার আসর! এটি কেবল একটি ধর্মকে নয়, গোটা জাতিকে অপমান করার শামিল।
– একদিকে সরকার উগ্র ইসলামপন্থীদের প্রশ্রয় দিচ্ছে।অন্যদিকে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে হেয় করে রাষ্ট্রীয় পর্যায় থেকে মন্তব্য ছোড়া হচ্ছে।
এই দেশ সকলের হলেও আজ মুসলমান ছাড়া কেউ থাকতে পারবে বলে মনে হয় না। আবার মুসলমানের নিজেদের মধ্যেও গণ্ডি আছে।
উপদেষ্টার বক্তব্য প্রমাণ করে অবৈধ ইউনুস সরকার শুধু অদক্ষ নয়, তারা জাতির মৌলিক ঐক্যকেও ধ্বংস করতে তৎপর। ধর্মকে হেয় করে, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে অপমান করে তারা টিকে থাকতে চাইছে।