ঢাকা: ১৯৭৭ সালে জিয়াউর রহমান সেনা বিদ্রোহের অভিযোগে ১১৪৩ জন সেনা সদস্যকে ফাঁসি দেয়, তার এতবছর পর একসাথে এতজন সেনা অফিসারকে গ্রেপ্তার করা হলো। এই গ্রেফতারের সারি হয়তো আগামি দিনে দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হবে।
ষড়যন্ত্র বড় গভীরে চলে গেছে। সেনাবাহিনী দ্বিধাবিভক্ত।
বলা হচ্ছে শেখ হাসিনা সরকারের ১৫ বছরের শাসনামলে গুম, গোপন আটক এবং নির্যাতনের মতো গুরুতর অপরাধে অভিযুক্ত ২৪ জন সেনা কর্মকর্তার বিচার ও তাদের রাখার জন্য ঢাকা সেনানিবাসের ভেতরেই বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে (আইসিটি) অভিযুক্ত কর্মকর্তাদের রাখার জন্য একটি অফিসার্স মেসের নিরাপত্তা জোরদার করতে কনসার্টিনা তারের বেড়া নির্মাণ শুরু হয়েছে।
এবং সেনানিবাসের ভেতরেই একটি ভবনকে ‘সাব-জেল’ হিসেবে ঘোষণা করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
অর্থাৎ, ঢাকা সেনানিবাসের একটি ভবনকে সাময়িকভাবে কারাগার হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। রবিবার (১২ অক্টোবর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কারা-১ শাখা থেকে এ-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ফৌজদারি কার্যবিধি, ১৮৯৮ এর ৫৪১(১) এর ক্ষমতাবলে The Prisons Act, 1894 (ix of 1894) এর ধারা ৩(বি) অনুসারে ঢাকা সেনানিবাসস্থ বাশার রোড সংলগ্ন উত্তর দিকে অবস্থিত ‘এম ই এস’ বিল্ডিং নং-৫৪, ঢাকা সেনানিবাস, ঢাকাকে সাময়িকভাবে কারাগার হিসেবে ঘোষণা করা হইলো। অনুমোদনক্রমে এ আদেশ জারি করা হইলো। ইহা অবিলম্বে কার্যকর হইবে।
আজ, সোমবার (১৩ অক্টোবর) থেকে ঢাকা সেনানিবাসের একটি অফিসার্স মেসের সীমানা প্রাচীরের ওপর এই নিরাপত্তা বেষ্টনী নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে।
সেনা সদর জানায়, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের মামলায় অভিযুক্ত ১৫ সেনা কর্মকর্তাকে হেফাজতে নিয়েছে সেনাসদর। তবে মেজর জেনারেল কবীর আহাম্মদকে পাওয়া যাচ্ছে না।
