ঢাকা: মেধাবী অভিনেতা যশ রোহানকে নিয়ে হুলুস্থুল কাণ্ড ঘটে গেলো দেশে। বিজয়া দশমীতে মায়ের পাশে একখানা ছবি দিয়েছেন, কপালে সিঁদুরের ফোঁটা! ব্যস! ফেটে পড়েছে ধর্মান্ধ গোষ্ঠী।

অবশ্য এই মৌলবাদী গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে রোহানকে সাপোর্ট দিয়েছেন অনেকেই। তার মধ্যে অভিনেতা আরশ খানও আছেন।

তিনি লিখেছেন ফেসবুকে, “ইয়াশ রোহান বাংলাদেশের অন্যতম অভিনেতাদের একজন। যার অভিনয় , ব্যক্তিত্ব উভয়ই আমার প্রিয়।

অভিনেতা ইয়াশকে তার ধর্ম বা সে কোন অঞ্চলের মানুষ তা রিপ্রেজেন্ট করেনা বরং নিজের শৈল্পিক গুণাবলী দিয়ে সে এদেশের মানুষকে , বাংলাদেশকে রিপ্রেজেন্ট করেন। ধর্ম যার যার দেশ সবার”!

এবার ধর্মান্ধ গোষ্ঠীকে একহাত নিয়েছেন তসলিমা নাসরিন।

একটি সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে তিনি স্পষ্ট বলেছেন যে এই মুহূর্তে আর অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের কথা তিনি ভাবতে পারেন না। কারণ আজকের পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে এমন স্বপ্ন দেখাটা সোনার পাথরবাটির মতই অসম্ভব।

প্রথম উদাহরণ হিসেবে তিনি এনেছেন বিখ্যাত অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরীর নাম।

তিনি বলেছেন “চঞ্চল চৌধুরীকে তারা ভালবেসেছিল। কারণ চঞ্চলের অভিনয় তাদের ভাল লেগেছিল। চঞ্চলের গানও ভাল লেগেছিল তাদের। তারপর যখন ফেসবুকে চঞ্চলের ছবি দেখলো তাঁর মায়ের সঙ্গে, যে মায়ের সিঁথিতে ছিল সিঁদুর, তখনই চঞ্চলের প্রতি যত ভালবাসা ছিল উইথড্র করে নিল।

তসলিমা আরো লেখেন, তারা বিশ্বাসই করতে পারলো না চঞ্চল হিন্দু। তারা তুই-তোকারি করতে লাগলো চঞ্চলকে, গালি দিতে লাগলো, ঘৃণা ছুঁড়তে লাগলো।

এরপর যশ রোহান যখন ছবি পোস্ট করলো দুর্গা প্রতিমার সঙ্গে, কপালে তিলক বা সিঁদুর। তারা অবাক। তারা তো যশকে ভালবাসতো। যশের অভিনয় ভাল লাগতো তাদের!

এখন কী হবে?

কী করে এখন ভালবাসবে যশকে, যশ তো হিন্দু!

যশের জন্য যত ভালবাসা ছিল, মুহুর্তে উইথড্র করে নিল। তারা বিশ্বাসই করতে পারলো না যশ হিন্দু। তারা তুই-তোকারি করতে লাগলো যশকে, গালি দিতে লাগলো, ঘৃণা ছুঁড়তে লাগলো।

এই হলো বাংলাদেশের একটা বড় সংখ্যক মুসলমানের চরিত্র। এই চরিত্রগুলোকে সঙ্গে নিয়ে কী করে গড়া যাবে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ”!

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *