ঢাকা: ঢাকার উত্তরায় দিয়াবাড়ি এলাকার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভেতরে বিমান বাহিনীর যে ফাইটার জেটটি বিধ্বস্ত হয়েছে, সেটি ‘এফ-সেভেন বিজিআই’ মডেলের যুদ্ধবিমান।

এফ-৭ বিজিআই যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তে কম করেও ২০০ র বেশি জন নিহত হয়েছেন এবং অগুণতি আহত হয়েছেন।

তবে লাশের তথ্য দিচ্ছে না সরকার। লাশ গুম করার কারসাজি চলেছে।

সোমবার বেলা ১টা ৬ মিনিটে বিমানটি উড্ডয়নের কয়েক মিনিট পর বিধ্বস্ত হয়।

এই দুর্ঘটনার পরেই চীনের তৈরি তুলনামূলকভাবে কিছুটা সাশ্রয়ী এফ-৭ বিজিআই যুদ্ধবিমান নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে।

যুদ্ধবিমান ও বিমানের যন্ত্রাংশের নকশা প্রণয়ন এবং উৎপাদানকারী চীনা কোম্পানি চেংদু এয়ারক্রাফট করপোরেশনের (সিএসি) তৈরি এফ-৭ বিজিআই মূলত বহুমুখী অভিযান ও উন্নত প্রশিক্ষণে সক্ষম একটি হালকা যুদ্ধবিমান।

সোভিয়েত আমলের মিগ-২১ এর মডেলের আদলে এই বিমানটি তৈরি করে চীন।

২০০৮ সাল থেকে ২০২৫ সালের মধ্যে এফ-৭ ফাইটার জেড সিরিজের বিমানগুলো বাংলাদেশসহ ছয়টি দেশে ১৪টি দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে। ভয়াবহ সব ঘটনা।

বাংলাদেশ ছাড়া অন্য যে দেশগুলোতে দুর্ঘটনাগুলো ঘটেছে সেগুলো হলো- পাকিস্তান, চীন, মিয়ানমার, ইরান ও জিম্বাবুয়ে।

প্রশিক্ষণ ও ইন্টারসেশপনের ভূমিকায় ব্যবহৃত বিমানগুলোর মধ্যে রয়েছে- এফটি-৭, এফ-৭বিজি, এফ-৭এমবি, এফ-৭এম, এফ-৭ বিজিআই।

বাংলাদেশ

মোট চারটি দুর্ঘটনা (২০০৮, ২০১৫, ২০১৮, ২০২৫)।
ভ্যারিয়েন্ট: এফ-৭, এফ-৭এমবি, এফ-৭বিজি, এফ-৭ বিজিআই।
প্রচুর হতাহত।

চীন
চারটি দুর্ঘটনা (২০১০, ২০১১, ২০১২, ২০২২)।
ভ্যারিয়েন্ট: এফ-৭/জে-৭
হতাহত: দুই জন পাইলট, একজন সাধারণ নাগরিকের মৃত্যু, আহত চার।

পাকিস্তান
দুটি দুর্ঘটনা (২০১৫, ২০২০)।
ভ্যারিয়েন্ট: এফটি-৭পিজি, এফটি-৭
হতাহত: তিন জন পাইলট।

মিয়ানমার
দুটি দুর্ঘটনা (২০১৮, ২০২৫)।
ভ্যারিয়েন্ট: এফ-৭এম
হতাহত: দুই জন পাইলট, ছয় জন সাধারণ নাগরিক।

ইরান
ঘটেছে একটি দুর্ঘটনা (২০২২)।
ভ্যারিয়েন্ট: এফটি-৭
হতাহত: দুই জন পাইলট।

জিম্বাবুয়ে
একটি দুর্ঘটনা (২০২৫)।
ভ্যারিয়েন্ট: এফ-৭
হতাহত: একজন পাইলট।

উল্লেখযোগ্য যে, বাংলাদেশে এফ সেভেন-বিজিআই বিমান প্রথম যুক্ত হয় ২০১৩ সালে।

অত্যাধুনিক অ্যাভিওনিকস, ডিজিটাল ককপিট এবং ডে-নাইট কমব্যাট সক্ষমতা আছে যদিও এটি মূলত ১৯৫০ এর দশকের সোভিয়েত মিগ টুয়েন্টি ওয়ান এর ওপর ভিত্তি করে তৈরি।

বাংলাদেশ ২০২২ সালে দ্বিতীয় দফায় আরও এফ সেভেন– বিজিআই সংগ্রহ করে।

তবে যাই হোক, এটি একটি পুরোনো ফ্রেমের ওপর আধুনিক প্রযুক্তির জোড়াতালি বলে মনে করছেন অ্যাভিয়েশন বিশেষজ্ঞরা।পুরনো বোতলে নতুন মদ যাকে বলে। ফলে এর এত সক্ষমতা নেই।

তাই এর নিরাপত্তা নিয়ে অনেক প্রশ্ন আছে।

যদি নিরাপত্তা না থাকে তবে দ্রুত একে বাদ দেয়া উচিৎ!

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *