যশোর: যশোর জেলার অভয়নগর ডহর মশিয়াহাটি গ্রামে একপাশে চলছে মতুয়া মতাদর্শের অনুসারীদের যজ্ঞানুষ্ঠান অন্যপাশে অতর্কিত ভাবে মৌলবাদী সন্ত্রাসীরা ১৮ টি হিন্দু পরিবারের ওপর হামলা চালায়।

হামলাকারীরা- ঐ পরিবারগুলোর ঘর বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়, অর্থ- মালামাল লুট করে এবং মা-বোনদের মারধর করে।

গোলার ধান, কাপড় চোপড়, বিছানা পত্র, পুড়িয়ে ছারখার করে ফেলে।

যশোরের অভয়নগর উপজেলার নওয়াপাড়া পৌর কৃষক দলের সভাপতি তরিকুল ইসলাম সরদার (২২ মে) সন্ধ্যায় ঘের লিজ নেওয়ার জন্য ডহরমশিয়াহাটি গ্রামে পিন্টু বিশ্বাসের বাড়ি যান।

সেখানে চুক্তিপত্র করার সময় গোলযোগ হলে অজ্ঞাত ৭/৮ দুর্বৃত্ত ঘটনাস্থলে পৌঁছে কুপিয়ে ও গুলি করে তরিকুল ইসলামকে হত্যা করে পালিয়ে যায়।

এই ঘটনার পর পিন্টু বিশ্বাসের তিনটি ঘরে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়। পরবর্তীতে ওই বাড়ির পাশের ১৮টি বাড়িঘরে আগুন দেয়া হয়।

তরিকুল ইসলামকে হত্যার ঘটনা কি হিন্দুরা ঘটিয়েছে? তাহলে তাদের বাড়িতে হামলা কেন?

গোটা বিষয়টা ষড়যন্ত্রমূলক এবং হিন্দু নির্যাতনের হাতিয়ার।

হিন্দু সম্প্রদায়ের ১৮ টি বাড়িতে লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। অথচ ক্ষতিগ্রস্তরা জানেই না তাঁদের অপরাধ কি।

যদিও হিন্দুকে পিটানোর জন্য এইদেশে কোন কারণের দরকার হয় না।

এই সমস্ত ঘটনায় মুহাম্মদ ইউনূসের কার্যক্রমকে ধিক্কার জানিয়েছে হিউম্যান রাইটস কংগ্রেস ফর বাংলাদেশি মাইনোরিটিস (এইচআরসিবিএম) নামক সংগঠন।

বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর ক্রমবর্ধমান অত্যাচারের দিকে নজর দিয়েছে স্থানীয় মানবাধিকার সংস্থা।

বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর ক্রমবর্ধমান নির্যাতনের ঘটনা স্থানীয় মানবাধিকার সংস্থাগুলোর নজরে এসেছে।

এই সংস্থাগুলো নির্যাতিত হিন্দুদের পাশে থাকার জন্য কাজ করছে এবং তাদের অধিকার রক্ষার জন্য সরকারের কাছে আবেদন জানাচ্ছে।

বিশেষ করে, সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর আক্রমণের ঘটনা বেড়ে যাওয়ায় স্থানীয় মানবাধিকার সংস্থাগুলো উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।

তারা এই বিষয়ে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান জানিয়েছে।

কিছু মানবাধিকার সংস্থা যেমন: আইন ও শালিস কেন্দ্র, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ, এবং পূজা উদযাপন পরিষদ, সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতনের ঘটনাগুলো নথিভুক্ত করছে এবং ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্য করার চেষ্টা করছে।

হিউম্যান রাইটস কংগ্রেস ফর বাংলাদেশি মাইনোরিটিস (এইচআরসিবিএম) শুক্রবার বাংলাদেশে সাম্প্রতিক এক নৃশংস সাম্প্রদায়িক হামলার কথা তুলে ধরে।

যেখানে অভয়নগর উপজেলায় ১৮ টিরও বেশি হিন্দু পরিবারের বাড়ি লুট, ভাঙচুর এবং আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছিল।

ন্যায়বিচার দাবি করে, মানবাধিকার সংস্থাটি আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে (আইসিসি) পলিষ্কার প্রমাণ জমা দিয়েছে, যেখানে মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায়ে জড়িত থাকার অভিযোগ আনা হয়েছে।

এইচআরসিবিএম সাম্প্রদায়িক হামলার ফলে সৃষ্ট ধ্বংসযজ্ঞের ভয়াবহ চিত্র প্রকাশ করেছে, যার মধ্যে রয়েছে পুড়ে যাওয়া গোলা, ধসে পড়া কাঠামো, কালো দেয়াল এবং দেশের সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের পুড়ে যাওয়া সম্পত্তি আছে।

হিউম্যান রাইটস কংগ্রেস ফর বাংলাদেশি মাইনোরিটিস (এইচআরসিবিএম) শুক্রবার বাংলাদেশে সাম্প্রতিক এক নৃশংস সাম্প্রদায়িক হামলার কথা তুলে ধরে।

যেখানে অভয়নগর উপজেলায় ১৮ টিরও বেশি হিন্দু পরিবারের বাড়ি লুট, ভাঙচুর এবং আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছিল।

ন্যায়বিচার দাবি করে, মানবাধিকার সংস্থাটি আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে (আইসিসি) পলিষ্কার প্রমাণ জমা দিয়েছে, যেখানে মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায়ে জড়িত থাকার অভিযোগ আনা হয়েছে।

এইচআরসিবিএম সাম্প্রদায়িক হামলার ফলে সৃষ্ট ধ্বংসযজ্ঞের ভয়াবহ চিত্র প্রকাশ করেছে, যার মধ্যে রয়েছে পুড়ে যাওয়া গোলা, ধসে পড়া কাঠামো, কালো দেয়াল এবং দেশের সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের পুড়ে যাওয়া সম্পত্তি আছে।

তবে মুহাম্মদ ইউনূস সম্পূর্ণভাবে এর দায় হিন্দুদের উপর দিতে চেয়েছিলেন।

সেই ভয়াবহ রাতের কথা স্মরণ করে মানবাধিকার সংস্থাটি ইউনূসের একটি সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে দেওয়া একটি প্রকাশ্য বিবৃতির উপরও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে, যা পরে মুছে ফেলা হয়।

পোস্টে, ইউনূস স্পষ্ট হত্যার জন্য “কিছু হিন্দু গ্রামবাসীকে” দায়ী করেছেন এবং ব্যবসায়িক বিরোধের কারণে সহিংসতাকে “প্রতিশোধমূলক” হিসাবে বর্ণনা করেছেন।

যা ইউনূসের সরাসরি হিন্দু নিধনে হাত আছে এটি নিশ্চিত করা গেছে।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *