ঢাকা: বাংলাদেশে বিনা কারণে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের কারাগারে বন্দী করে রাখা হয়েছে। মুহাম্মদ ইউনূসের সরকার ক্ষমতার লোভে আজ দেশটাকে কোথায় নিয়ে দাঁড় করিয়েছে।

কর্মীদের অনেকের বাবা মা মারা যাচ্ছে শেষ দেখাও দেখতে পাচ্ছেন না। আবার কেউ কেউ প্যারোলে মুক্তি পেয়ে কবরে মাটিটুকু দেয়ার সুযোগ পাচ্ছেন।

গত ১৬ বছরে আওয়ামী লীগ সরকার অন্য দলের নেতাকর্মীদের উপর এমন চাপ প্রয়োগ করেনি !

জনগণ ক্ষুব্ধ হয়ে বলছে, ‘এই গ্লানি কষ্ট আক্ষেপ যন্ত্রণা সব থেকে মুক্তি পাওয়ার রাস্তা একটাই, আমাদের ফিরতে হবে, জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগকে রাষ্ট্র ক্ষমতায় আনতে হবে’।

আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

ষড়যন্ত্রমূলক মামলা হয়েছে পলকের বিরুদ্ধে।

জুলাই আন্দোলন ঘিরে হাতিরঝিল থানার একটি হত্যা মামলায় সাবেক তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলককে গ্রেপ্তার দেখিয়েছে আদালত।

তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনের শুনানি নিয়ে বুধবার ঢাকার মহানগর হাকিম দিলরুবা আফরোজ তিথি পলককে গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ দেন।

তবে জোর গলায় তিনি বলছেন, তিনি কোনো অপরাধ করেননি।

বুধবার (২৫ জুন) জুলাই অভ্যুত্থানকেন্দ্রিক ভুয়া হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার শুনানির জন্য ঢাকা চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তোলার সময় তিনি এই দাবি করেন।

আদালতে বসে তাঁকে বই পড়তেও দেখা গেছে।

পলকের আইনজীবী ফারজানা ইয়াসমিন রাখি বলেন, “কোমর ব্যথায় তিনি (পলক) ভালোভাবে চলাফেরা করতে পারছেন না।

তিনি কারাগারে ব্যায়াম করছেন। এখন তার থেরাপি প্রয়োজন। আমরা সুচিকিৎসা চেয়ে আদালতে আবেদন করব।“

প্রসঙ্গত, জুলাই আন্দোলন কেন্দ্রিক নতুন মামলায় জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি ও সাবেক তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু এবং সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকসহ চার জনকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।

অন্য আসামিরা হলেন- সাবেক শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার এবং ডিএমপির সাবেক উপ-পুলিশ কমিশনার মো. শহিদুল্লাহ।

ড. ইউনূস ক্ষমতা দখলের পর থেকে এখন পর্যন্ত ২১জন আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীকে কারাগারে হত্যা করা হয়েছে।

ইউনূসের মববাহিনীর হাতে ৫ আগস্ট থেকে প্রতিনিয়ত লীগ নেতাকর্মীরা হত্যার শিকার হচ্ছে।

গ্রেফতারের আগে যারা সুস্থ ও সবল ছিলেন, গ্রেফতারের পরে নির্যাতন চালিয়ে তাদেরকে অসুস্থ বানানো হয়েছে।

হত্যার শিকার ব্যক্তিদেরকে মিথ্যা ও সাজানো মামলায় অথবা গ্রেফতারের পরে বিভিন্ন মামলার আসামী করা হয়েছিল।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *