রাজশাহী: বাংলাদেশে মৌলবাদী গোষ্ঠীর পাঁয়তারা যুগের পর যুগ ধরে চলে আসছে। অথচ এই রাষ্ট্র কারো একার না।
এবার আদিবাসীদের উপর নিকৃষ্ট হামলা হয়েছে।
রাজশাহীর পবায় বর্বরোচিত হামলার স্বীকার হয়েছে আদিবাসীরা। গত বুধবার সকাল দশটায় পবা থানার নওহাটা পৌরসভার বাগসারা বাধপুল (আদিবাসী) গুচ্ছ গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, সেদিন বাগসারা গ্রামের মোঃ বাবলু, খাজা, বাবলুর স্ত্রীসহ চারজন অতর্কিত হামলা করে আদিবাসী নারী মালতী মার্ডিকে।
ঘটনায় তিনি গুরতরভাবে জখম হন। আঘাতপ্রাপ্ত আদিবাসী নারীকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য দারুশা মেডিকেলে ভর্তি করে।
এরপর ফের দুপুরে বাবলু ও খাজা দলবল নিয়ে অতর্কিত আক্রমণ চালায়। এই বর্বরোচিত আচমকা আক্রমণে গ্রাম প্রধান শ্যামল সরেনের শালা রিপন মুর্মু, রিপনের মা ও রঙ্গিলাকে বেধড়ক পিটিয়ে গুরুতর জখম করে ও বাড়িঘর ভাংচুর করে।
হামলাকারীরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ঘোরাফেরা করে। অথচ প্রশাসন নীরব। এরা আদিবাসীদের উচ্ছেদের হুমকি দিচ্ছে। জায়গা না ছাড়লে মেরে ফেলার পর্যন্ত হুমকি দিচ্ছে।
ঘরবাড়ি ভেঙে, তাদের আঘাত করে,
নগদ টাকা ও মালপত্র লুট করে নিয়ে যায়।
হামলার শিকার হয়ে অনেকেই গত প্রায় ৫ দিন ধরে বাড়িছাড়া এবং ভয়ে দিন কাটাচ্ছেন।
তাদের অভিযোগ, স্থানীয় বাবলু ও খাজার নেতৃত্বে কয়েকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে দিনভর এ হামলা চালায়।
শ্যামল মুর্মু জানান, ১২টি পরিবারের মধ্যে ৭টি পরিবার এলাকা ছেড়ে আত্মীয়-স্বজনের বাড়ি বা অন্য কোথাও আশ্রয় নিয়েছে।
অন্তর্বর্তী সরকার আদিবাসীদের জীবন রক্ষা করতে অসমর্থ। এই সরকার নিজের ক্ষমতা ধরে রাখার লড়াইয়ে এখন ব্যস্ত। কাজ হয়ে গেলে পালাবে দেশ থেকে।