ঢাকা: পি আর নির্বাচন যদি না হয় ,এর পর বিএনপি ক্ষমতায় গেলে অনেক মানুষ ঘরেও আর ঘুমাতে পারবেনা।
পিআর নিয়ে এখন নতুন করে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে।
বাংলাদেশের রাজনীতির মাঠে যে বিভেদ তৈরি হতে যাচ্ছে, তা জাতীয় ঐক্যের জন্য ভয়াবহ হুমকি।
অবশ্য আওয়ামী লীগ ছাড়া কোনো ঐক্যই দেশ গঠনে উপযুক্ত নয়। বিএনপি, জামাত, শিবির সবগুলো দেশে খুন, সন্ত্রাসবাদ, চাঁদাবাজি, লুটমারের রাজনীতি করে চলেছে।
বিএনপি যে এত ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য অস্থির, তার কারণ পকেট ভর্তি করা। ক্ষমতায় যাবার আগেই যে রং দেখাচ্ছে, তাতে বুঝতে আর অসুবিধা নেই ২০০১-০৬ এর জায়গায় ফিরেছে বিএনপি। থামানোর কেউ নেই।
পিআর শুধু বাহানা। আসলে নির্বাচন হয় কিনা সেটাই সন্দেহ এখন।
পিআর পদ্ধতি নিয়ে কথা বলেছেন বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন আহমেদ।
তিনি বলেছেন, “এই মুহূর্তে যদি পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন হয়, তাহলে নিজেদের মধ্যে একটি বড় ধরনের বিভেদ তৈরি হবে।”
তিনি সতর্ক করে বলেছেন, সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (প্রপোরশনাল রিপ্রেজেন্টেশন বা পিআর) পদ্ধতির প্রচলন জাতীয় নির্বাচনকে বিলম্বিত করার বা বানচাল করার ষড়যন্ত্র হতে পারে।
এই নিয়ে আহমেদের বিরুদ্ধে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় প্রচার ও দাওয়াহ সম্পাদক শেখ ফজলুল করীম মারুফ ৫ জুলাই এক বিবৃতিতে বলেছেন, রাষ্ট্র পরিচালনায় দেশের সকল মানুষের মতের প্রতিফলন নিশ্চিত করতে হলে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের কোন বিকল্প নাই।
জুলাই অভ্যুত্থানের প্রতিজ্ঞা বাস্তবায়নে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ আগামী জাতীয় নির্বাচন পিআর পদ্ধতিতে করার দাবী করেছে।
এই দাবী নিয়ে পক্ষ-বিপক্ষ মতামত থাকাই রাজনৈতিক সৌন্দর্য। আলোচনা, তর্ক ও পারস্পরিক বোঝাপড়ার মাধ্যমে দেশের স্বার্থকে প্রধান্য দিয়ে একটা সিদ্ধান্তে আসতে হবে। এটাই নতুন বাংলাদেশের প্রত্যাশা।
কিন্তু এক সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য জনাব সালাহউদ্দিন আহমেদ যে ভাষায় পিআর দাবীকে সামনে নিয়ে আসা ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের বিরোধিতা করেছেন তা রাজনৈতিক শিষ্টাচার বহির্ভূত।
ইসলামী আন্দোলনের প্রচার সম্পাদক বলেন, তিনি যে যুক্তিতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সমালোচনা করেছেন তা স্ববিরোধী।
প্রসঙ্গত, পিআর পদ্ধতি হলো এমন একটি নির্বাচন ব্যবস্থা, যেখানে কোনো নির্দিষ্ট আসনের জন্য প্রার্থীরা ভোটে লড়েন না।
বরং ভোটাররা দলের প্রতীকে ভোট দেন, এবং দলটি যত শতাংশ ভোট পায়, সেই অনুপাতে সংসদে আসন পায়।