ঢাকা: দেশে নারীদের উঠে আসা বড় কঠিন। যেখানে ভারতের মেয়েরা হাতে বিশ্বকাপ নিয়ে উল্লাসে মাতছে, অভিনন্দন এবং খোদ প্রধানমন্ত্রী মোদিজী তাঁদের সাথে বসে কথা বলছেন, সাহস দিচ্ছেন সেখানে আমাদের দেশের হালটা কোথায়?
কোনো নারী সহজে একটা জায়গায় পৌঁছাতে পারে না। শত বাধা পেরিয়ে, যৌন লাঞ্ছনা সয়ে হয়তো উঠতে পারে বা পারে না।
সম্ভাবনাময়ী নারীরা কিভাবে উঠে আসবে, যখন দেশের নারী ক্রিকেট দলের অধিনায়ককেও অপমানজনক অবস্থার মধ্য দিয়ে যেতে হয়?
এগুলো খুব দুঃখজনক।
বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলের প্রাক্তন অধিনায়ক জাহানারা আলমের মতো সমাজে এমন হাজার নারীর কথা আছে। এগুলো শুধু দুঃখজনক নয়, বরং জাতির জন্য এক গভীর লজ্জা ও ঘৃণার বিষয়।
নারী ক্রিকেটারেরা দিনের পর দিন যৌন হয়রানীর স্বীকার হচ্ছে ক্রিকেটের কর্তাব্যক্তিদের দ্বারা।
অভিযোগ উঠছে, জনগণ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলছে বিসিবি দোষীদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা না নিয়ে উল্টো আস্কারা দেয় এবং ঘটনা ধামাচাপা দিয়ে অপরাধীদেরকে বাঁচিয়ে দেয়।
বাংলাদেশের মহিলা ক্রিকেট দলের প্রাক্তন অধিনায়ক জাহানারা আলমের এক সাক্ষাৎকার নিয়ে তোলপাড় চলছে বিশ্ব ক্রিকেটে।
গত বৃহস্পতিবার অর্থাৎ, ৬ নভেম্বর একটি ইউটিউব চ্যানেলকে সাক্ষাৎকার দিয়ে তিনি একাধিক বিস্ফোরক মন্তব্য করেন।
জাহানারা আলম জানিয়েছেন, বাংলাদেশের মহিলা দলের প্রাক্তন নির্বাচক মঞ্জুর ইসলাম এবং মেয়েদের দলে প্রাক্তন ইনচার্জ তৌহিদ মাহমুদ তাঁকে যৌন হেনস্থা করেছেন। এদের মধ্যে তৌহিদ মাহমুদ প্রয়াত।
তাঁর কেরিয়ার ধ্বংসের নেপথ্য প্রাক্তন ও বর্তমান কোচিং স্টাফের বহু সদস্যও রয়েছে বলে মনে করেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) দিবাগত রাত প্রায় পৌনে ১২টায় পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিসিবি জানায়, সাবেক নারী দলের এক সদস্যের মাধ্যমে গণমাধ্যমে উত্থাপিত কিছু ব্যক্তির বিরুদ্ধে অনিয়ম, অশালীন আচরণ ও নির্যাতনের অভিযোগকে উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করা হয়েছে।
অভিযোগগুলোর সংবেদনশীলতা বিবেচনায় বিষয়টি তদন্তের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। গঠিত কমিটি ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেয়ার নির্দেশ পেয়েছে।
জাহানারার নতুন অভিযোগ তালিকায় রয়েছেন সাবেক নির্বাচক মঞ্জুরুল ইসলাম মঞ্জু, প্রয়াত নারী বিভাগের ইনচার্জ তৌহিদ মাহমুদ, ম্যানেজার ফাইয়াজ, কর্মকর্তা বাবু, কোচ ইমন, ক্রিকেটার নিগার সুলতানা জ্যোতি, পিংকি, নাহিদা ও রিতুমনি।
তাঁদের বিরুদ্ধে প্রভাব বিস্তার, দলীয় রাজনীতি ও হেনস্থার অভিযোগ তুলেছেন তিনি। মঞ্জু ও তৌহিদের বিরুদ্ধে শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ তুলেছেন জাহানারা।
জনগণ বলছে, দেশের মানুষের উচিত বাংলাদেশের নারী ক্রিকেটারদের পক্ষে দাঁড়ানো। আসমান বিদীর্ণ করে আওয়াজ তোলা উচিত। যাতে বিবিসি ঘটনা ধামাচাপা দিতে না পারে।
অপরাধীদের বাঁচাতে না পারে। এই মেয়েরা আমাদের পতাকাকে সম্মানের সহিত বিশ্বের কাছে উঁচিয়ে ধরে।
