ঢাকা: জামাতে ইসলামী কতটা বীভৎস হতে পারে, তাঁর উদাহরণ বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ।

বীভৎস দানব এরা। বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষের উচিৎ হবে এই ভয়ংকর সন্ত্রাসী ও দাঙ্গাবাজ দলের হাত থেকে বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষকে, নারী – পুরুষ – শিশু – বৃদ্ধ সকলকে রক্ষা করা।

নারীরা তো কোথাও আপত্তি তোলেনি যে তাঁরা আট ঘন্টা কাজ করতে পারবে না প্রতিষ্ঠানে। বরং নারীরা আজকাল কাজ করতেই বেশি আগ্রহী।

কাজ করে দুটো টাকা আয় করে কীভাবে সংসার চালানো যায় সেই চিন্তাই করে। কোনো কোনো সংসার নারীদের দাঁড়াই চলে।

পুরুষরা আছে, কিন্তু অনেকেই সংসারে কোনো অবদান রাখে না, সেখানে বাচ্চা বড় করা, সংসারের খরচ সব নারীকেই সামাল দিতে হয়। তবুও নারী মুখ বাঁকা করে না।

অথচ জামায়াতে ইসলামী এভাবে কথা বলছে যেন নারীদের ভার তারাই নিয়ে নিয়েছে। ৮ ঘন্টার জায়গায় ৫ ঘন্টা কাজ করলে কোনো প্রতিষ্ঠানে নারীদের কাজে নেবে? আর প্রতিষ্ঠানের তিন ঘন্টার ক্ষতির টাকা নাকি সরকার দেবে? এত জরুরি?

মূলত দেশের নারীদের যেনতেন বস্তাবন্দি করা হচ্ছে এই রাক্ষসদের মূল উদ্দেশ্য। যেন তালিবানি কায়দায় নারীদের নিয়ে আসা যায়, এই ধান্দা করছে।

এর বিরোধিতা করেছেন লেখক তসলিমা নাসরিন।

তিনি ফেসবুকে লিখেছেন, ‘নারীকে এরা যৌনদাসী, ক্রীতদাসী আর সন্তান উৎপাদনের যন্ত্র বলে মনে করে।

তাই চায় নারী ঘরে থাকুক, যেন ঘরে থেকে ক্রীতদাসির মতো সংসারের সমস্ত কাজ একা করতে পারে, যেন ঘরে থেকে যৌনদাসির মতো পুরুষকে যৌনানন্দ দিতে পারে , যেন পুরুষের সন্তান গর্ভে ধারণ করতে পারে, এবং সেই সন্তানকে জন্ম দিয়ে লালন পালন করতে পারে। স্বামী সন্তানের সেবায় যেন সারাদিন এবং সারারাত ব্যস্ত থাকে’।

তিনি আরো বলেন, ‘এরা চায় না নারী ঘরের বাইরে বেরোক, নারী অফিস আদালতে যাক, এরা চায় না নারীর অর্থনৈতিক স্বাধীনতা থাকুক, নারী স্বনির্ভর হোক, আত্মবিশ্বাসী হোক।

এরা চায় না নারী তার প্রাপ্য অধিকার নিয়ে মানুষের মতো এই পৃথিবীতে বাঁচুক’।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *