ঢাকা: রাজাকাররা আজ আসে দেশের বিচার করতে। জনগণের বিচার করতে। লেবাসধারী জামায়াত বাংলাদেশের যা ক্ষতি করেছে তো করেছেই, এখনো করে যাচ্ছে।
একাত্তরের পরাজয়ের ক্ষোভ তাদের এখনো যায়নি।
তারা সব ইতিহাস ভালো জানে কিন্তু ৩০ লক্ষ শহীদ রক্তের ও ২ লক্ষ মা বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীন মুক্তিযুদ্ধের কথা আসলেই তারা ভুংভাং করে সহজ ভাবে একটা ছোটখাটো গন্ডগোল হিসেবে তুলে ধরা এই হইল রাজাকারের নাতিপুতিদের কালচার।
এসব আর বাংলার জণগণ খায় না মানুষ এখন অনেক চালাক । জুলাই ছিল জামায়াতের ভিতরের ষড়যন্ত্র।
আওয়ামী লীগের নামে অপপ্রচার ও গুজব রটানো ছাড়া তাদের রাজনীতিতে; ডিকশনারিতে আর কোন শব্দ বা পন্থা নাই এই দল এর।
তারা চায় না দেশে একটা নির্বাচিত সরকার আসুক। কারণ পর্দার আড়ালে তো এরাই ব্যবসা করে খাচ্ছে। আর বাইরে এসে কোরানের বাণী শোনাচ্ছে।
রাজাকারদের এই বাংলায় ঠাঁই নাই। কোনোদিন হবে না। সেই জবাব টিএসসিতে এরা আবার পেয়ে গেছে।
টিএসসি শিবির দন্ডপ্রাপ্ত এবং আত্মস্বীকৃত রাজাকারদের ছবি টাঙায়। বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তিযুদ্ধপন্থী এবং প্রগতিশীল ধারার শিক্ষার্থীরা ব্যাপক প্রতিবাদ করে ।
এর পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি রাজাকারদের ছবিগুলো সরিয়ে ফেলে টিএসসি থেকে।
ছবি সরানোর মাধ্যমেই প্রমাণিত হয় বঙ্গবন্ধু কন্যার সরকার, যাদের বিচারের মাধ্যমে ফাঁসি কার্যকর করেছিলো, তারা কেউ নিরপরাধ ব্যক্তি ছিলেন না।
তারা এই বাংলাদেশের জনগণ এবং আদালতের মাধ্যমে প্রমাণিত রাজাকার ছিলো।
এবং সকল রাজাকারের বিচার এই বাংলার মাটিতেই হবে।
রাজাকার জামায়াতে ইসলামীর ষড়যন্ত্রের জুলাই ঘোষণাপত্র পছন্দ হয়নি।
জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে হতাশা ব্যক্ত করে প্রতিক্রিয়া দিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।
দলটির নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের বলেছেন, আমরা এই ঘোষণাপত্রে হতাশ, এই জাতি হতাশ।
এর কারণ ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, ঘোষণাপত্র সংবিধানে স্থান দেওয়া দরকার ছিল। ৫ আগস্ট থেকে এই ঘোষণাপত্র বাস্তবায়ন করবে বলে আমরা শুনেছিলাম, কিন্তু এটা কখন থেকে বাস্তবায়ন হবে তার কোনো নির্দেশিকা নেই।
মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) সন্ধ্যায় জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে গণমাধ্যমে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় তিনি এসব কথা বলেন।
বিজ্ঞাপন
ডা. তাহের বলেন, আন্দোলনে শহীদ পরিবার কিংবা যারা পঙ্গু আছে তাদের বিষয়েও কোনো স্পষ্ট নির্দেশিকা নেই ঘোষণাপত্রে।
যারা শহীদ হয়েছে বা আহত হয়েছে তাদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির কথা ছিল, তাদের ভাতা দেওয়ার কথা ছিল। এসব কোনো বিষয়েই ঘোষণাপত্রে স্পষ্ট নির্দেশিকা নেই। এসব কারণে আমরা হতাশ।
জামায়াতের এ নেতা আরও বলেন, এ বিষয়ে আমাদের দলের নির্বাহী মিটিংয়ের পর আমরা বিস্তারিত প্রতিক্রিয়া দেবো।