ঢাকা: ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল। বাংলাদেশের জন্য এক অন্ধকার সময়।

অপশাসন কী, অপশাসনের ফল কী হতে পারে, বাংলাদেশের মানুষ তা প্রত্যক্ষ করেছে ২০০১ সাল থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত।

দেখা গিয়েছে, রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় সন্ত্রাসের সঙ্গে কেমন করে মিলেমিশে একাকার হয়ে যায় মৌলবাদ ও সরকার।

রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের বিস্তার ঘটে সে সময়। জামায়াত-বিএনপি অপশাসনকালে বারবার প্রমাণিত হয়েছে একটি স্বার্থবাদী গোষ্ঠী কী করে নিজেদের অবস্থান ধরে রাখতে রং বদল করে।

নির্বাচনে ভোট কারচুপি করে ক্ষমতায় আসা বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার দেশের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, বিদ্যুৎসহ প্রতিটি ক্ষেত্রে সীমাহীন লুটপাট-দুর্নীতি করে ডেকে আনে বিপর্যয়।

জামায়াত লেবাসধারী। এরা ইসলামকেই ধোঁকা দিয়ে চলে। বোকারা বোঝে না।

বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে জনজীবন হয়ে উঠে দুর্বিষহ।

নির্যাতন, লুটপাট, দুর্নীতি, হত্যা, রাহাজানি ও ধর্ষণ উৎসবে মেতে ওঠে তারা।

যত সুন্দর না জামায়াতের লেবাস তার চেয়ে বেশি সুন্দর তার মিথ্যা কথা।

 ক্ষমতায় যাওয়ার আগে চাঁদাবাজি টেন্ডারবাজি, এভাবেই তারা দল নিয়ন্ত্রণ করছে।

আর ক্ষমতায় যাওয়ার পর দেশ বাজি রেখে দেশ নিয়ন্ত্রণ করবে।

আবার আগামিতে দেশ নিয়ন্ত্রণের স্বপ্ন দেখছে এরা।

জামায়াতে ইসলামী দল নিয়ন্ত্রণ করেছে, ভবিষ্যতে দেশ নিয়ন্ত্রণ করবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন দলটির আমির ডা. শফিকুর রহমান।

আজ শুক্রবার সকালে রাজধানীর চীন-মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে ঢাকা মহানগর দক্ষিণের রুকন সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।

জামায়াতের আমির বলেন, ‘কোনো এক দলের বেগম পাড়া আছে, আবার কোনো দলের আছে পিসি পাড়া। তবে জামায়াতের এমন কোন পাড়া নেই। শুধু জীবন রক্ষার জন্য ভবিষ্যতে ইসলামি আন্দোলনের কেউ কখনও দেশ ছেড়ে যাবে না।’

ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘দেশ চাঁদাবাজদের কারণে পিছিয়ে পড়েছে। না হলে এতদিনে বাংলাদেশ উন্নত বিশ্বের কাতারে থাকত। রাজনীতিবিদদের উচিত দেশের জনগণের জন্য করা। এ লক্ষ্যেই জামায়াতে ইসলামী কাজ করে যাচ্ছে।’

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *