ঢাকা: মুক্তিযুদ্ধবিরোধী জামায়াত ইসলামী বারবার ধর্মকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করেছে।

বাংলাদেশের ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে জামায়াতে ইসলামী সরাসরি পাকিস্তানপন্থী অবস্থান নিয়েছিল এবং রাজাকার, আলবদর, আলশামস গঠন করে দেশের মুক্তিকামী মানুষের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিল। পরে তারা নিজেকে “ইসলামের রক্ষাকর্তা” হিসেবে নিজেদের তুলে ধরার চেষ্টা করে।

এই দল কতটুকু দেশের স্বার্থে লাগতে পারে।

জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ‘দাঁড়িপাল্লা’ এবং ‘শাপলা’ প্রতীক হিসাবে অন্তর্ভুক্ত করে নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালা সংশোধন করতে যাচ্ছে ইলেকশন কমিশন (ইসি)।

ইসির সংরক্ষিত প্রতীকের সংখ্যা ১১৫টি করার প্রস্তাব তুলেছে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়।

প্রস্তাব অনুমোদন হলে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) শাপলা প্রতীক পাওয়ার পথ খুলবে। এবং দেশকে উচ্ছন্নে নিতে আরো সুবিধা হবে।

নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধন পেতে রবিবার আবেদন করে জাতীয় নাগরিক পার্টি। দলটি তিনটি প্রতীক-শাপলা, কলম, মোবাইল ফোন চেয়েছে। এর মধ্যে প্রথম পছন্দ হিসাবে আছে শাপলা।

তবে শাপলা নিয়ে অনেক মতবিরোধ আছে। জনগণ চায় না কোনোভাবেই জাতীয় ফুল কোনো রাজনৈতিক দলের প্রতীক হোক।

নির্বাচন কমিশনার বলছেনন, “দলটির (আওয়ামী লীগ) নিবন্ধন স্থগিত হয়েছে, প্রতীক সংরক্ষিত তালিকায় থাকতে তো অসুবিধা নেই।”

জামাত প্রসঙ্গে ইতিহাস লেখক, গবেষক এবং মুক্তিযোদ্ধা মহিউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, ‘‘এই সরকার জামাত-ই-ইসলামির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে না। কারণ, এই সরকারের সেই নৈতিক শক্তি বা মনোবল নেই।’’

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *