চট্টগ্রাম: মুক্তিযুদ্ধের সময় সরাসরি বিরোধীতাকারি দল জামায়াতে ইসলামী।
স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় মুক্তিযোদ্ধাদের হত্যা, হিন্দুদের নির্বিচারে খুন, ধন সম্পদ লুটপাট, বুদ্ধিজীবীদের হত্যা, মা বোনদের ধর্ষণসহ হেন কোন অপকর্ম নেই এই দলের নেতা- কর্মী ও সশস্র ক্যাডাররা করেনি।
একাত্তরে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে শোচনীয় পরাজয়ের পর থেকে নানা ফন্দি- ফিকির করে টিকেছিল। ভোল পাল্টেছিলো ক্ষণিকের জন্য।
এখন গত জুলাই- আগস্টে আবার একাত্তরের ভূমিকায় নেমেছে পুরোদমে। প্রশাসনের ওপর থেকে নীচ পর্যন্ত সর্বত্রই এরা ঘাঁটি গেঁড়ে বসেছে। তার একটিমাত্র নমুনা চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে দেখালো তারা।
চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূর আহমেদকে ‘নেতাদের ধরা যাবে না’ বলে হুমকি দেওয়া হয়েছে।
হুমকি দেয়ার অভিযোগ উঠেছে জামায়াতের সহযোগী সংগঠন শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের এক নেতার বিরুদ্ধে।
রবিবার (২৯ জুন) ফেডারেশনের ফটিকছড়ি পৌরসভা শাখার সাধারণ সম্পাদক মো. গিয়াস উদ্দিন রুবেল এই হুমকি দেন।
চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার (এসপি) মো. সাইফুল ইসলাম সানতু দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছেন।
ঘটনার বিষয়ে ওসি বলেন, ‘‘আমাকে উদ্দেশ্য করে ওই নেতা বলেন ‘কোনো অবস্থাতেই জামায়াত নেতাদের ধরা যাবে না। ওয়ারেন্ট থাকলেও না।’ ধরলে দেখে নেওয়া হবে বলে শাসানো হয়।’’
ওসির উপর চড়াও হয়ে যান তিনি। কোনো জামায়াতের নেতাদের ধরা যাবে না বলে ওসিকে হুমকি দেন। বেশি বাড়াবাড়ি করলে দেখিয়ে নেওয়ার কথাও বলেন।
উত্তরে ওসি বলেন, ‘আপনি যা পারেন করেন। আমি ওয়ারেন্টমূলে তাকে আটক করেছি। ওয়ারেন্ট থাকলে আপনাকেও আটক করবো। আমি রাষ্ট্রের দায়িত্ব পালন করি।’
ওসি নূর আহমেদ বলেন, ‘ওয়ারেন্ট থাকায় আমরা জামায়াতপন্থী সংগঠনের সভাপতি মো. ইব্রাহিম খলিলকে অর্থঋণ মামলায় আটক করি। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই গিয়াস উদ্দিন রুবেল ১০-১২ জন সঙ্গী নিয়ে থানায় এসে উত্তেজিত হয়ে বলেন, ‘ধরলে দেখে নেব।’
প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালে যখন ত্রিশ লক্ষ শহীদের হত্যার বিচার শুরু হয়েছিল তখন ধীরে ধীরে জামায়াত শিবিরের নেতাকর্মীরা আন্ডারগ্রাউন্ডে ঢুকে যায়।
কোমলমতি স্কুলের বাচ্চাদের ধর্মের নামে ভুল বুঝিয়ে এবং মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে বিভিন্ন বিভ্রান্তি ছড়িয়ে তরুণদের জান্নাতের লোভ দেখিয়ে জামায়াত শিবিরের কিশোর গ্যাংয়ে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল।