ঢাকা: জামায়াতে ইসলামীর ১৯ জুলাইয়ের সমাবেশের জন্য পুরো দুই জোড়া ট্রেন ভাড়া দেওয়া হয়েছে তাদের নামে!

শুধু তাই নয়, দেখা গিয়েছে সেনাবাহিনীর গাড়ি ব্যবহার হচ্ছে জামাত এর সমাবেশের জন্য। রাষ্ট্র চালায় কে? এত জোর জামায়াতের?

সাধারণ যাত্রীদের দুর্ভোগ, রেলসেবার ব্যত্যয়—সবকিছুকে তুচ্ছ করে রাষ্ট্রীয় সম্পদ এখন ব্যবহার হচ্ছে একটি উগ্র জঙ্গী গোষ্ঠীর রাজনৈতিক সুবিধার্থে!

জামায়াতের ঘটনা দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।
সরকারি রেল ব্যক্তিগত রাজনৈতিক এজেন্ডা বাস্তবায়নে ব্যবহৃত হচ্ছে।

এইগুলো ঘটনা থেকেই একেবারে স্পট যে, এই অবৈধ ইউনূস সরকার আসলে দেশের মালিকানা নয়, কেবল ক্ষমতা আঁকড়ে থাকা কিছু গোষ্ঠীর সেবাদাস মাত্র।

একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে পাকবাহিনীর সহযোগী, স্বাধীনতার  বিরোধীতাকারি  যুদ্ধাপরাধী- মানবতাবিরোধী রাজনৈতিক দল জামায়াতে ইসলামী রাজধানী ঢাকায় বড় শো ডাউন করছে।

এর মধ্য দিয়ে তারা তাদের শক্তিমত্তার জানান দিতে চাইছে অন্যসব রাজনৈতিক দলের কাছে। মুক্তিযুদ্ধের শক্তির প্রতি এক ধরনের চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছে তারা।

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জামায়াতে ইসলামী তাদের সমাবেশে বিশাল ধরনের লোকসমাগম ঘটিয়েছে। এটা যদিও বিচিত্র ঘটনা নয়। তারা দেশের যেকোনো প্রান্তের যেকোনো সমাবেশেই লোক জড়ো করতে পারে।

লোকে লোকারণ্য। শস্য ফেলার জায়গা নেই।

তবে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান মানুষে-মানুষে ভরিয়ে দিলে কি ক্ষমতায় চলে যাবে?

শনিবার দুপুর ২টা থেকে সমাবেশের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হওয়ার কথা থাকলেও সকাল সাড়ে ৯টার মধ্যে মঞ্চের চারপাশে নেতাকর্মীদের সমাবেশ জনসভায় রূপ নিয়েছে।

উদ্যানজুড়ে জামায়াতের প্রতীক ‘দাঁড়িপাল্লা’ বসানোর কাজ ভোরের আগেই শেষ হয়ে গেছে। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের দুই দিকে প্রবেশ পথে তৈরি করা হয়েছে বিশাল গেইট।

সমাবেশের বিভিন্ন স্থানে ৩৩টি এলইডি স্ক্রিন সেট বসানো হয়েছে, যাতে নেতাকর্মীরা সরাসরি বক্তব্য শুনতে পারেন। সোহরাওয়ার্দি উদ্যানে ও তার আশপাশে তিন শতাধিক মাইক লাগানো হয়েছে।

মাইকে ভাষণ দিয়ে ফাটিয়ে ফেলা হবে সোহরাওয়ার্দী।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *