ঢাকা: বিএনপি-জামায়াত-সমন্বয়ক চক্র গোটা দেশকে দুর্নীতি আর চাঁদাবাজির শীর্ষে নিয়ে গেছে। বিএনপির সময় বাংলাদেশ ৫ বার দুর্নীতিতে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ছিল। এখন আবার হবে!
জামায়াতের যত সুন্দর না লেবাস তার চেয়ে বেশি সুন্দর তার মিথ্যা কথা। ক্ষমতায় যাওয়ার আগে চাঁদাবাজি টেন্ডারবাজি, এভাবেই তারা দল নিয়ন্ত্রণ করছে । আর ক্ষমতায় যাওয়ার পর দেশ বাজি রেখে দেশ নিয়ন্ত্রণ করবে।
জামাত ইসলাম ভয়ংকর একটা সন্ত্রাসী দল। ইসলামের লেবাস পরে ইসলামকে ভাঙিয়ে খাচ্ছে। এদের নীতি এটাই।
নীল নদ নদীর পানি যেমন নীল না। তেমনি জামায়াত ইসলাম মানেই ইসলামী দল নয়। ধর্মের কথা বলা এদের লেবাস।
একটি সরকার ক্ষমতায় থেকে কিভাবে মানুষের উপর বর্বর নির্যাতন চালাতে পারে বাংলাদেশে তা দেখেছে ২০০১-০৬ সালে বিএনপি জামাত জোট সরকারের আমলে।
এখন নির্বাচন নির্বাচন হাওয়ার মাঝে দুর্নীতিমুক্তের স্লোগান দিচ্ছে জামায়াত ইসলামী।
কী বলেছে শোনা যাক জামায়াত:
‘দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ’ গড়া জামায়াতে ইসলামীর আগামী নির্বাচনের অন্যতম প্রধান এজেন্ডা হবে বলে জানান দলটির নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের।
তিনি বলেন, আমরা চাই দুদক সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত হোক, যেন কোনো রাজনৈতিক দল নিজেদের স্বার্থে আইন পরিবর্তন করতে না পারে। জাতীয় স্বার্থে সংবিধান সংশোধনের দরকার হলে সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নিতে পারবে।
সোমবার (২৮ জুলাই) সন্ধ্যায় রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে আলোচনা শেষে তিনি সাংবাদিকদের এই কথা বলেন।
ডা. তাহের বলেন, দুদক শক্তিশালী করার ক্ষেত্রে কোনো ধরনের কার্পণ্য বা ফাঁক থাকুক, আমরা তা চাই না। আমরা খুবই দৃঢ় এবং প্রায় চার-তৃতীয়াংশ পার্টিও সংস্থাটিকে সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করার ব্যাপারে একমত।
তিনি বলেন, আমরা চাই না, কোনো একটি দলের প্রয়োজনে দুদকের আইন পরিবর্তন হোক। যদি জাতির প্রয়োজনে হয় তাহলে তো সরকারি দল, বিরোধী দল সবাই একমত হয়ে যাবে।
তখন সংশোধন করার আর কোনো অসুবিধা হবে না। সেজন্য পরিবর্তনের সুযোগটি আমরা তখনই রাখতে চাই, যেটি দেশের স্বার্থে ও জাতীয় স্বার্থ হবে। দলের স্বার্থে দুদুকের আইন পরিবর্তনের আমরা বিরোধী।