চট্টগ্রাম: যাত্রামোহন সেনগুপ্ত ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে সশস্ত্র বিপ্লবীদের প্রতি গভীর সহানুভূতিশীল ছিলেন।

যিনি জে এম সেন নামে অধিক পরিচিত একজন বাঙালি আইনজীবী, রাজনীতিবিদ ও সমাজকর্মী।

চট্টগ্রামের ভূমিপুত্র হিসেবে সেখানে নানা সামাজিক কাজকর্মে তিনি ছিলেন অগ্রণী সেনানী।

এবার চট্টগ্রামের রহমতগঞ্জ এলাকায় ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের স্মৃতি বিজড়িত যাত্রামোহন সেনগুপ্তর বাড়িটি পুরাকীর্তি হিসেবে সংরক্ষণের যোগ্য বলে জানিয়েছে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর।

অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বাড়িটি পরিদর্শন করে ভূমি নকশা প্রণয়নের কাজ শেষ করেছেন।

একশ বছরের বেশি বয়সী বাড়িটির প্রত্নতাত্ত্বিক, ঐতিহাসিক ও স্থাপত্যিক গুরুত্ব বিবেচনায় একে পুরার্কীতি হিসেবে সংরক্ষণযোগ্য বলে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের আঞ্চলিক পরিচালক মোছা. নাহিদ সুলতানা জানিয়েছেন।

বাড়িটি ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন, চট্টগ্রাম যুব বিদ্রোহ, অসহযোগ আন্দোলন, বার্মা অয়েল কোম্পানির আন্দোলন, চা শ্রমিকদের ‘মুল্লুক চলো’ আন্দোলন এবং আসাম বেঙ্গল রেল ধর্মঘটের স্মৃতি বিজড়িত।

উল্লেখযোগ্য যে, বাড়িটিকে সংরক্ষণ করার জন্য প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবর আবেদন করেছিল ‘চট্টগ্রাম ইতিহাস ও সংস্কৃতি গবেষণা কেন্দ্র’।

আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতেই ২৫ জুলাই ভবনটি পরিদর্শন করেন অধিদপ্তরের আঞ্চলিক পরিচালকের নেতৃত্বে একটি দল।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *