ঢাকা: বাংলাদেশের বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন রাজনৈতিক বাস্তবতায় একটি বিপজ্জনক পরিকল্পনা “জুলাই জাতীয় সনদ”।
ইউনুস একা নন, তার এই পরিকল্পনার বাস্তবায়নে সক্রিয় রয়েছে জামাত-শিবির, এনসিপি এবং এক সময়কার ভয়াবহ মৌলবাদী জঙ্গি সংগঠনগুলো।
যেখানে সাধারণ জনগণ একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের প্রত্যাশায় আছেন, সেখানে ইউনুসপন্থী মহল দেশের সংবিধান ও গণতন্ত্রকে পাশ কাটিয়ে “জুলাই” নামে একটি পর্দার আড়ালে ক্ষমতা কুক্ষিগত রাখার পাঁয়তারা করছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, জুলাইয়ের ভয়াবহ হত্যাকাণ্ড থেকে মূল ঘাতকদের রক্ষা করতেই সরকারের পক্ষ থেকে দেওয়া হয়েছে এক ধরনের ইন্ডেমনিটি।
এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত ছিল বিএনপি-জামাত, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র নামধারী সশস্ত্র গোষ্ঠী এবং হিযবুত তাহেরী, লস্করি তৈয়্যাবা, হরকাতুল জেহাদ প্রভৃতি চরমপন্থী সংগঠন। অথচ বিচারের বদলে এখন তাদেরই পুরস্কৃত করা হচ্ছে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় অংশীদার বানিয়ে।
জুলাই সনদ হচ্ছে ৫ আগস্ট পর থেকে যত হত্যা, ডাকাতি, ধর্ষণ, লুটপাট সব কিছুকে আইনী বৈধতা দেয়া।
আগামী ১৫ অক্টোবর জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় ষড়যন্ত্রমূলক জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫ স্বাক্ষরিত হবে।
প্রশ্ন হচ্ছে, জাতীয় সংসদে কিভাবে সই হবে? সংসদ কি বহাল আছে?
এই স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে নেতৃত্ব দেবেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা এবং জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সভাপতি ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
এতে দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও জোটের প্রতিনিধিরা অংশ নেবেন।
বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) জাতীয় সংসদ ভবনে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন কার্যালয়ের সভাকক্ষে কমিশনের এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করা হয়।
