ঢাকা: বাংলাদেশ এক অদ্ভুত রাষ্ট্রীয় প্রহসনে পরিণত হয়েছে।

সরকার, এনসিপি, জামায়াতে ইসলামী ও হেফাজতের মতো চরমপন্থী শক্তির জোট ৫ আগস্টের তথাকথিত ‘জুলাই ঘোষণা’কে কেন্দ্র করে ভয়, চাপ ও অর্থের জোরে ‘গণজোয়ার’ সৃষ্টির অপচেষ্টা চালাচ্ছে।

জুলাই মাসে যারা ষড়যন্ত্র করেছে, যারা অসভ্যতা করেছে শেখ হাসিনার অন্তর্বাস নিয়ে, তাদের বলা হচ্ছে জুলাই যোদ্ধা।

জঙ্গীরা আজ হয়েছে যোদ্ধা।

তা কথায় আছে না, ভিক্ষার চাল কাড়া আর আকাড়া বিচার করতে নাই!

তা তথাকথিত জঙ্গীরা একটা বছর তো খাচ্ছে ভিক্ষা করে, খুন, মব, চাঁদাবাজি করে। তাদের আমার ভাড়াটিয়া করে ঢাকা নিয়ে যাচ্ছেন মহাজন ইউনূস। যাতে সভাটা ফাঁকা না থাকে!

তা বিনা পয়সায় গেলেও ট্রেনের মানটা তারা ভালো চেয়েছিলো। পাকিস্তানকে খুশি করতে এবং স্বাধীন বাংলাদেশের আত্মমর্যাদা পদদলিত করে পরাজিত পাকিস্তানের সঙ্গে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার কূটকৌশলে যুক্ত হতে যাচ্ছে তাতে কী?

ট্রেনটা ভালো মানের দিতে পারলেন না সুদী ইউনূস।

তাই জঙ্গীদের রাগ ধরেছে এবং তারা রেললাইন অবরোধ করে।

প্রায় একঘন্টা রেল অবরোধ করে সন্ত্রাসীরা।

রাজশাহীতে বিশেষ ট্রেন পছন্দ না হওয়ায় বিক্ষোভ করে। তাদের একাংশ আজ মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) সকালে রাজশাহী রেলস্টেশনে রেললাইনের ওপর বসে পড়েন, কেউ কেউ শুয়ে পড়েন। এতে রাজশাহী থেকে ট্রেন চলাচল প্রায় এক ঘণ্টা বন্ধ থাকে।

রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, জুলাইযোদ্ধাদের জন্য ৪ লাখ ৮৫ হাজার ৯১ টাকা ভাড়া দিয়ে একটি বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করা হয়।

ট্রেনটিতে মোট ৫৪৮টি আসন ছিল এবং বিভিন্ন স্টেশন থেকে যাত্রী ওঠার কথা ছিল। রাজশাহী থেকে আনুমানিক ২০০-২৫০ জন যাত্রী সেই ট্রেনে ঢাকায় গেছে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও রেল কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা যায়, বরাদ্দ করা বিশেষ ট্রেনটি দেখে তাদের পছন্দ হয়নি। তারা বনলতা ও সিল্কসিটি এক্সপ্রেসের মতো আন্তঃনগর ট্রেন দাবি করে।

তারপরেই আবদার করে তারা বিক্ষোভ করে।

তারপর একসময় এই জঙ্গীরা পিছু হটে রেললাইন থেকে সরে দাঁড়ান এবং পাশেই দাঁড়িয়ে থাকা সিল্কসিটি এক্সপ্রেস ট্রেনে উঠে পড়ে।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *