ঢাকা: জুলাই বিক্রি করে খাওয়ার ধান্দা।
গণঅভ্যুত্থান স্মৃতি জাদুঘর নির্মাণ কোন যুক্তিতে? কিভাবে সরকারি জনগণের টাকা মেরে খাবে এই উদ্দেশ্য।
১১১ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ ও সংস্কার হবে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মৃতি জাদুঘর’। আর এই ক্রয়প্রক্রিয়া প্রশ্নবিদ্ধ।
দেশ ধ্বংস করে জঙ্গীদের স্মৃতি সংরক্ষণ করার জন্য উঠেপড়ে লেগেছে।
একদিকে দেশের ৬৪টি জেলায় নির্মাণ হচ্ছে ‘জুলাই স্মৃতিস্তম্ভ’। স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণেও খরচ হবে কোটি কোটি টাকা। যে দেশে মানুষ ফুটপাতে ঘুমায় সে দেশে এমন বিলাসী খরচের মানে কি?
শুধু বিলাসি না, দেশে যেখানে ঘুণ ধরেছে, সেখানে জুলাইকে স্মরণে রাখার কাজ চলছে।
জুলাই জঙ্গী আন্দোলন ছাড়া আর কী?
দেশে শুরু হয়েছে জুলাই নিয়ে ব্যবসা। এই স্মৃতিস্তম্ভগুলো চাঁদাবাজির আরেকটা নতুন পথ হয়েছে।
তবে গণভবনকে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মৃতি জাদুঘর’ বানানোর কাজে সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে এই ১১১ কোটি টাকার ব্যয়ের যে সিদ্ধান্ত হয়েছে, তাতে ‘গভীর উদ্বেগ’ প্রকাশ করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।
সংস্থাটি পরিষ্কার বলেছে, বিদ্যমান আইন ও নীতিমালা ‘এড়িয়ে’ সরাসরি ক্রয়পদ্ধতির যুক্তিতে কাজ দেওয়া হয়েছে, এটা স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহির প্রতি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অঙ্গীকারের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।
বুধবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই উদ্বেগ প্রকাশ করেছে টিআইবি।
সরকার এখানে ব্যাখ্যা দিচ্ছে যে, গণভবনকে জাদুঘরে রূপান্তরের কাজ দ্রুত শেষ করার জন্য ক্রয়পদ্ধতিতে কাজ দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
তবে এত দ্রুততার প্রয়োজন কী? যেটা প্রয়োজন সেদিকে নজর নেই। নির্বাচনের প্রয়োজন নেই, দেশ চালনা করার প্রয়োজন নেই, জঙ্গী বাহিনীর স্মৃতি সংরক্ষণের প্রয়োজন আছে ইউনূসের কাছে।
টিআইবি বলছে, “এই প্রকল্পের সিদ্ধান্ত ২০২৪ সালের ডিসেম্বরেই নেওয়া হয়েছিল এবং ক্রয়নীতি অনুযায়ী উন্মুক্ত প্রতিযোগিতার জন্য দরপত্র ডাকাসহ যথাযথ নীতি অনুসরণের জন্য সময়ও হাতে ছিল।
“অথচ প্রায় সাত মাস সময় পার করে নির্ধারিত সময়সীমার তিন সপ্তাহ আগে সরাসরি ক্রয়পদ্ধতি বেছে নিয়ে সরকারি ক্রয় বিধিমালার ৭৬(১) ও ৭৬(২) ধারাকে ‘পাশ কাটানো’ হয়েছে।”