ঢাকা: তারেক রহমান ফিরছেন না, তাই বেগম খালেদা জিয়া ফের লণ্ডনে যাচ্ছেন। এর আগের দফায় তিনি চার মাস থেকে এসেছেন। একমাস হাসপাতালে এবং তিনমাস ছেলে তারেক রহমানের কাছে ছিলেন।
দেশে বিএনপি আছে, তবে বড় বিতর্ক নিয়ে আছে। বিএনপিকে আরো বিতর্কিত করছে চারপাশের যে রাজনৈতিক দলগুলো আছে তারা।
ক্ষমতায় গেলেও বিএনপির পক্ষেটিকে থাকা অসম্ভব হবে। কারণ ক্ষমতায় যাবার আগেই এই দল প্রবল বিতর্কে জড়িয়েছে।
তাই একমাত্র আওয়ামী লীগ ছাড়া বিএনপির বাঁচার আর কোনো পথ নেই।
তাছাড়া তারেক রহমান ফিরবেন না এটি নিশ্চিত। কেন ফিরবেন না? এখন তো তিনি মুক্ত!
তবে যা জানা নেই, তা হচ্ছে ইউনূসের সাম্প্রতিক লন্ডন সফরের কয়েকদিন আগে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ ‘লিভ টু আপিল’ করলে ১ জুন তা মঞ্জুর করে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।
সিনিয়র আইনজীবী শাহদীন মালিক ডয়চে ভেলেকে বলেছেন, “লিভ টু আপিল মঞ্জুর হওয়ার অর্থ মামলাটি সচল থাকা : আপিল বিভাগে এটা নিয়ে শুনানি হচ্ছে, শুনানি শেষে বিচারপতিরা যদি মনে করেন, হাইকোর্ট ডিভিশনের সিদ্ধান্ত ঠিক হয়নি তাহলে রায় পরিবর্তন হতে পারে”।
তাই বর্তমানে তারেক দেশে কবে ফিরবেন তার থেকেও গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন, আবার শুনানি শুরু হয়েছে, বেকসুর খালাস পাওয়া মামলার রায়ও বদলে যেতে পারে৷
এই অবস্থায় বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া ফের লন্ডন যাচ্ছেন।
বলা হচ্ছে চিকিৎসার জন্য।
চিকিৎসকদের পরামর্শে প্রয়োজনীয় ফলোআপ চিকিৎসার জন্য তিনি শিগগির সেখানে যাবেন বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে।
এর আগে চলতি বছরের ৮ জানুয়ারি উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডনে গিয়েছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসন।
সেখানে প্রায় এক মাস হাসপাতালের চিকিৎসা শেষে অবস্থান করেছিলেন তার বড় ছেলে ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বাসায়, সেখান থেকেই তার চিকিৎসার ফলোআপ চলছিল।
এরপর গত ৬ মে দেশে ফিরে আসেন খালেদা জিয়া।