ঢাকা: শেখ হাসিনার দয়াতেই কারাগারের অন্ধকার কুঠিতে না থেকে গুলশানে ছিলেন খালেদা জিয়া! বাড়িতে থেকেই চিকিৎসা নিচ্ছিলেন।
অপরাধী হলেও যেহেতু বয়স্ক এবং রোগী তাই দয়া করেছিলেন শেখ হাসিনা। মহানুভবতার পরিচয় দিয়েছিলেন। কিন্তু সাপ ছোবল মারই।
যাই হোক, অন্তর্বর্তী সরকার আসার পর তিনি পুরোপুরি মুক্ত।
খালেদা জিয়ার সাজা মওকুফ করা হয়। অপরাধীদের সাজা মওকুফ করার জন্যেই তো এই সরকার।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট ‘দুর্নীতির’ মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে সাজা দেওয়া হয়েছিল। এ দুই মামলায় সাজাপ্রাপ্ত খালেদা জিয়া ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি কারাবন্দী হন।
যাই হোক, এখন তিনি মুক্ত পাখি। স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরেছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
বুধবার রাত ২টা ৫২ মিনিটে তিনি গুলশানের বাড়ি ফিরোজায় পৌঁছান।
মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শারীরিক কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য রাত ১টা ৪৮ মিনিটে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে পৌঁছান খালেদা জিয়া।
বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইং কর্মকর্তা শামসুদ্দিন দিদার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বার্তায় এ তথ্য জানান।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে গুলশান-২ নাম্বারের ৭৯ নাম্বার রোডের ১ নম্বর বাসভবন ‘ফিরোজা’ থেকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতাল নেওয়া হচ্ছে।