ঢাকা: বাংলাদেশের জুলাই আগস্টের ষড়যন্ত্র, নীলনকশা দেখেছে গোটা বিশ্ব। এবং পরবর্তীতে তার ফলাফল ও দেখতে পাচ্ছে!
কী অসাধারণ গতি দেশের! প্রতিদিন মব, খুন, দাঙ্গা, অপহরণ। জামাত বিএনপি, একদম শূষ করে ফেলেছে দেশ এই মাত্র এক বছরে।
বাংলাদেশ এখন আর রাষ্ট্র নয়, এটা যেন এক মব-অধিষ্ঠিত এলাকা। একটি দলের উগ্র আত্মমুগ্ধতা, আর মোহাম্মদ ইউনুস নামের অঘোষিত কর্তৃত্ববাদী নেতৃত্বে দেশের শাসন এখন কেবল ক্ষমতার দম্ভ আর দণ্ডের প্রতিচ্ছবি।
প্রশাসন নেই, আইন নেই, ন্যায়বিচার নেই—শুধু আছে প্রলয়ঙ্কর পেশিশক্তির দাপট, যা প্রতিদিন রক্ত চায়, মৃত্যু চায়, আতঙ্ক চায়।
অবিচারে চলেছে গ্রেপ্তারি। ভুয়া মামলা দিয়ে সব চলছে। কোনো দোষ নেই, কিন্তু তারপরেও দোষী সাব্যস্ত আওয়ামী লীগ, হিন্দুরা।
ইউনূসের আমলে যা মামলা হয়েছে সব প্রতিহিংসামূলক।
গ্রেপ্তার হয়েছেন সাবেক মন্ত্রী-এমপিসহ দেড়শর বেশি প্রভাবশালী ব্যক্তি। ব্যাংকার থেকে শুরু করে সরকারি কর্মকর্তা কেউ শান্তিতে নেই।
আওয়ামী লীগের মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে জুলাই আন্দোলনে হত্যা, হত্যাচেষ্টা, হামলার নির্দেশ ইত্যাদি ভুয়া অভিযোগে দেশজুড়ে সহস্রাধিক মামলা হয়েছে। কেবল ঢাকাতেই আন্দোলনকেন্দ্রিক মামলা হয়েছে ৬৬৮টি।
বেশিরভাগ মামলার আসামি সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা, সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
শেখ হাসিনাসহ ২০৬ জনকে মামলাগুলোতে আসামি করা হয়েছে; গ্রেপ্তার হয়েছেন ৭৩ জন।
প্রতিহিংসার রাজনীতিতে বুঁদ হয়ে গেছেন ইউনূস। তিনি মুখ চেপে ধরেছেন দেশের। কেউ কোনো কথা বলতে পারবে না। বললেই হয় জেল, নাহয় মব।
মব হচ্ছে ইউনূস জঙ্গী বাহিনীর প্রধান অস্ত্র। বিচারের আগে পিটিয়েই মেরে ফেলা হচ্ছে। মব সৃষ্টি করে গোল করে শিক্ষক থেকে শুরু করে হিন্দু, আওয়ামী লীগ , নারী কারো ছাড় নেই।
প্রশাসন থেকেও আজ মবসৃষ্টিকারীদের শক্তি অনেক বেশি। প্রশাসন নিজেই বোধহয় ভয় পায়।
এই এক বছরে যে পরিমাণ মব, ধর্ষণ, গুম, হত্যা হয়েছে তা একটি সরকারের চরম ব্যর্থতার বহিঃপ্রকাশ।
৫ ই আগষ্ট ২০২৪ পুরোটাই ছিল একটি ষড়যন্ত্রমূলক জঙ্গী অভ্যুত্থান।ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে উক্ত জেনজি প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধ ও ভারতবিরোধী একটি অবস্থান তৈরি করেছিল।
২০২৪ সালে শিবির ক্যাডার আবু সাঈদ মৃত্যু এই ষড়যন্ত্রের অংশ।
২০২৪ সালের ১৬ জুলাই থেকে এই বছরের এখন অবধি বিভিন্নভাবে বর্বর ও নৃশংস হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে।
কাউকে পুড়িয়ে মারা হয়েছে, কাউকে কুপিয়ে অথবা মারধর করা হয়েছে এবং অন্যদের গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। কারাগারে এবং আইন প্রয়োগকারী কর্তৃপক্ষের হেফাজতেও হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।
দেশে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের ঘটনা বৃদ্ধি পেলেও, ইউনূস তার অনির্বাচিত শাসনের মেয়াদ বাড়ানোর জন্য তৎপর রয়েছেন।