ঢাকা: বাংলাদেশে নিবিড়ে ঘটে চলেছে শিবিরের কারুকার্য। উপরে এক কথা, ভিতরে আরেক কথা।
রোকেয়া হলে ছাত্রদলের কমিটি ঘোষণাকে কেন্দ্র করে ক’দিন আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে তুলকালাম ঘটে গেলো, মেয়েরা পর্যন্ত এই বিষয়ে হল থেকে বের হয়ে সারারাত হুলুস্থুল করলো।
এমনটা দেশের আরো বেশ কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে হয়েছে।
তিতুমীর কলেজে ছাত্র রাজনীতি বন্ধে হইহল্লা করা একজনকে ক’দিন আগে ঘোষিত ছাত্রশিবিরের তিতুমীর কলেজ কমিটিতে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে পদায়িত হতে দেখা গেলো।
একদিকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্র রাজনীতি বন্ধ করার নামে হুলুস্থুল, হাঙ্গামা, আরেকদিনে ডাকসু নির্বাচন। কেমন হয়ে গেলো না ব্যাপারটা?
ডাকসু নির্বাচন উপলক্ষ্যে ছাত্রদল, ছাত্র ইউনিয়ন ও ছাত্রশিবির দলীয় পরিচয়ে সদলবলে মনোনয়ন ফরম নিলো।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে অংশ নিতে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছে বামপন্থি ছাত্র সংগঠনগুলোর সমন্বিত জোট প্যানেল।
প্যানেলের সহ-সভাপতি (ভিপি) পদে নির্বাচনে অংশ নেবেন শামছুন্নাহার হল ছাত্র সংসদের সাবেক ভিপি শেখ তাসনিম আফরোজ ইমি ও জিএস পদে ছাত্র ইউনিয়নের ঢাবি সভাপতি মেঘমল্লার বসু। তবে এখনও তারা সম্পূর্ণ প্যানেলে অংশগ্রহণকারীদের নাম ঘোষণা করেননি।
সোমবার (১৮ আগস্ট) বিকালে ‘আমরা করবো জয়’ গানটি গাইতে গাইতে তারা মনোনয়ন ফরম নিতে আসেন এবং ফরম নেওয়ার পর সংবাদ সম্মেলনে নিজেদের দাবি তুলে ধরে।
১. তাড়াতাড়ি আওয়ামী লীগ শাসনামলে শিক্ষার্থী নিপীড়নের সঙ্গে জড়িত সব ব্যক্তির তালিকা প্রকাশ করে, তাদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করতে হবে।
২. জুলাই অভ্যুত্থান চলাকালে ছাত্র হত্যার পক্ষে সম্মতি উৎপাদনকারী নীল দলের শিক্ষকদের হলের প্রভোস্ট পদ থেকে অপসারণ করতে হবে। ইত্যাদি।