ঢাকা: মাদ্রাসা ছাপ স্পষ্ট একেই বলে! দুর্গাপূজার ছুটি তাঁদের চাই না, এটা শরীয়ত বিরোধী। তা এমন যদি কথা হয়, তাহলে হিন্দুদের তো ঈদের ছুটি দেয়া উচিৎ না, কোথায় হিন্দুরা কি কোনোদিন প্রতিবাদ করেছে? প্রতিবাদের অধিকার তো শুধু এই দেশে মুসলমানদের আছে এমন নয়, সকল ধর্মের আছে।
আলিয়া মাদ্রাসায় যেহেতু জেনারেলের মত সকল সাবজেক্ট থাকায় ভিন্ন ধর্মের টিচার এবং কর্মকর্তা কর্মচারীও রয়েছেন সেই কারণে সেখানে পূজার ছুটি থাকাটা একেবারেই স্বাভাবিক।
তাহলে ঈদের সময় কোন স্কুল কলেজ ছুটি থাকবে না। কারণ স্কুল কলেজে হিন্দুরা পরে। তাদেরও পড়াশোনার ক্ষতি হয়। হবে কি এমন?
সংবিধান অনুযায়ী সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হয় এখানে দেখা হয় না কে হিন্দু, কে মুসলিম, কে বৌদ্ধ। তবুও এই উগ্র ধর্মান্ধদের ধর্ম নিয়ে এত বৈষম্য কেন? না খোঁচালে চলেই না?
আসন্ন দুর্গাপূজা উপলক্ষে দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ থাকবে। মাদরাসায়ও স্বাভাবিকভাবেই দুর্গাপূজা উপলক্ষে দুদিনের ছুটি রয়েছে। তবে এ ছুটি বাতিলের দাবি জানিয়েছেন মাদরাসার কিছু শিক্ষক ও অভিভাবক।
বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কার্যালয়ে জমা দেওয়া এক আবেদনে মাদরাসায় দুর্গাপূজার সরকারি ছুটি বাতিলের দাবি জানান তারা।
লিখিত আবেদনে শিক্ষক ও অভিভাবকরা উল্লেখ করেন, বিগত সরকার আলিয়া মাদরাসার ওপর অনেক ইসলামবিরোধী সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দিয়েছিল। তার অন্যতম একটি হচ্ছে ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের বিভিন্ন অনুষ্ঠানের ছুটি মাদরাসার ওপর চাপিয়ে দেওয়া, যা ইসলামী শরিয়তের সঙ্গে সম্পূর্ণ সাংঘর্ষিক।
আমরা অন্য ধর্মীয় অনুষ্ঠানের প্রতি কোনো অসম্মান না করে বলতে চাই, তারা তাদের ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালন করবে এবং ছুটি ভোগ করবে এটাই স্বাভাবিক। এটা তাদের মৌলিক অধিকার।
‘কিন্তু মাদরাসা শিক্ষাব্যবস্থায় যেহেতু কোনো ভিন্ন ধর্মাবলম্বী শিক্ষার্থী নেই, সেহেতু এ সংক্রান্ত ছুটি মাদরাসার জন্য অমূলক। যদি কোনো আলিয়া মাদরাসায় ভিন্ন ধর্মাবলম্বী শিক্ষক থাকেন, তবে তিনি তার ধর্মীয় ছুটি ভোগ করতেই পারেন, এতে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। কিন্তু আলিয়া মাদরাসার সব শিক্ষার্থীর ওপর এ সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেওয়া শরিয়তবিরোধী।’