ঢাকা: আওয়ামী লীগ নেতার বাড়িতে চাঁদাবাজি হয়, নেতার বাড়ি ভাঙচুর হয়, ধরা পড়ে সমন্বয়ক, আর সেই আওয়ামী লীগের নাম নাকি আসে চাঁদাবাজদের তালিকায়!

চাঁদাবাজদের নায়ক নাহিদ ইসলাম, ভাগ মন্ত্রী স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা, পাথর মেরে খুন করা দল বিএনপি, ষড়যন্ত্রকারী জামায়াত অথচ এরাই নাকি সাধু!

সংস্কারের কথা বলে মুখে ফেনা তুলছে এরা।

বিএনপি চাঁদাবাজি করে সবাই জানে।এনসিপি তাদের দল চালাবার জন্য ফান্ডিং নেয় , ডোনেশন নেয় তবে সেটা কোটির নীচে না। জামায়াতও!সাথে।

ধর্মের নামে অবশ্য বাংলাদেশে চাঁদাবাজি করা অন্যায় না। ধর্মের মোড়কে ইসলামী দলগুলো এভাবেই অন্যায় করে চলেছে।

২০০১ এর নির্বাচনে বিএনপি সংসদে আসন পায় ১৯৩ আর জামায়েত সংসদে আসন পায় ১৭ টি। রেশিও ১১.৩৬:১ , সংসদে আসনের দিক দিয়ে বিএনপি ১১ গুণেরও বেশি বড় একটি দল, একই নির্বাচনে ভোটের বিবেচনায় ৯৬ গুণ বড় একটি দল বিএনপি। জামায়াত পিচ্ছি একটা দল হয়ে যদি ৫০ টা চাঁদাবাজ থাকতে পারে তবে তো বিএনপির ৬×৯৬ টা থাকা দরকার।

সেই অনুপাতে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় চাঁদাবাজ দল হচ্ছে এনসিপি , কর্মী থেকে নেতা বেশি যা নেতা আছে তাও আবার দুর্নীতিবাজ , চাঁদাবাজ।

মোদ্দা কথা এই গণতান্ত্রিক সিস্টেমের মধ্যে থেকে চাঁদাবাজি না করে দল চালানো অসম্ভব। খিলাফতে মজলিশ হোক আর চরমোনাই কিংবা জামায়াত ইসলাম এরা প্রত্যেকে এইরকম দুই নম্বরি।

রাজশাহী মহানগর বিএনপি, জামায়াতের পরিচয়ধারী ১২৩ জন ‘চাঁদাবাজের’ নাম সংবলিত একটি তালিকায় রাজশাহীর রাজনৈতিক অঙ্গন একেবারে গরম।

তবে আওয়ামী লীগের কাছ থেকে চাঁদাবাজি করা হয়, আওয়ামী লীগের কাছে চাঁদাবাজি করে ধরা পড়ে আশে পাশের দলগুলো।

তালিকায় বিএনপি, ছাত্রদল ও তাদের সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মী, ক্যাডার, সমর্থক থেকে শুরু করে ৪৪ জনের নাম পরিচয় আছে।

এবং ইচ্ছাকৃতভাবে এখানে আওয়ামী লীগের ২৫ জনের নাম রয়েছে। আর জামায়াতের ৬ জনের নাম আছে। বাকিগুলোর নাম ঠিকানা দেওয়া আছে কিন্তু কোনো রাজনৈতিক পরিচয় নেই। তাদের সুবিধাবাদী বলা হয়েছে।

এই তালিকার ১৮ জনের নাম সম্প্রতি একজন আবাসন ব্যবসায়ীর দায়ের করা চাঁদাবাজির মামলায় আছে। সেই মামলায় ছাত্রদল ও যুবদলের নেতাদের প্রধান আসামি করা হয়েছে।

তবে এই তালিকা পুলিশের নাকি সরকারের অন্য কোনো সংস্থার সেটা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *