সিলেট: দেশের ক্ষমতা দখল করে নতুন বন্দোবস্তের নামে ক্ষমতাসীন কথিত রক্ষকরাই লুট করে সাদাপাথরকে, এবং সুন্দর জায়গাকে মরুতে রুপান্তরিত করেছে।
২০২০ সালেই বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সরকার আমলে সাদাপাথরে পাথর উত্তোলন বন্ধের ঘোষণা করা হয়, কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় জুলাই দাঙ্গার মাধ্যমে যে রক্তপিপাসু গোষ্ঠী ক্ষমতা দখলে নিলো তাদের চোখের সামনেই তাদেরই যোগসাজসে এত সম্ভাবনাময় একটি পর্যটন কেন্দ্রের লক্ষাধিক টন পাথর দিনের আলোতেই বিভিন্ন রাজনৈতিক অপশক্তি লুট করে পর্যটন স্পটের সৌন্দর্যকে ধ্বংস করে দিয়েছে।
আগে মানুষ পরিবার নিয়ে সাদাপাথর দেখতে আসতো, কিন্তু এখন সবকিছু ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। ইউনূস সরকারের এই ব্যর্থতা তীব্র ক্ষোভের জন্ম দিয়েছে জনমনে।
সাদা পাথর চুরি হওয়ায় সিলেটের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।
ইউনূসের অবৈধ সরকার ব্যবসায়ীদের ব্যক্তিস্বার্থ চরিতার্থ করবার জন্যে সিলেটে পাথর চুরির সুযোগ করে দিয়ে দেশের একটি জনপ্রিয় পর্যটন স্পটের ক্ষতি সাধন করে একেবারে মরুভূমিতে রুপান্তরিত করেছে।
এই গুরুত্বপূর্ণ পর্যটন স্থানটির সুরক্ষায় অবহেলা করার দায় সরকার এড়াতে পারেনা।
এখন আল্টিমেটাম দিচ্ছে সাদা পাথর ঘুরিয়ে দেয়ার! এগুলো কি নাটক হচ্ছে? পাথর কি রোদে শুকোচ্ছে?
সিলেটের ভোলাগঞ্জ সাদা পাথর থেকে লুট হওয়া পাথর ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে জেলা প্রশাসন।
প্রশাসনের হম্বিতম্বি দেখে মনে হচ্ছে তারা না জানি কত চেষ্টা করেছে পাথর চুরি ঠেকানোর!
বলা হয়েছে, আগামি মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) সন্ধ্যার মধ্যে যে যার অবস্থান থেকে নিজ উদ্যোগে এবং নিজ খরচে এসব পাথর ফেরত দিতে হবে।
শনিবার (২৩ আগস্ট) বিকেলে সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা মাঠ প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয় বিশিষ্টজনদের উপস্থিতিতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক মো. সারওয়ার আলম।
ডিসি সারওয়ার আলম বলেন, ২৬ আগস্টের মধ্যে সাদা পাথর থেকে লুট হওয়া পাথরগুলো ফেরত দিতে হবে। এ সময়ের পর কারো কাছে এসব পাথর পাওয়া গেলে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা হবে? বড় বড় রাঘব বোয়ালের নাম এসেছে চোরের তালিকায়? তাহলে কাদের ব্যবস্থা হবে?