খাগড়াছড়ি: মাদ্রাসার ছাত্ররা তো সুরক্ষিত নয়ই হুজুরের কাছে, তবে দাড়ি টুপিওয়ালা সুন্নতিদের বিরুদ্ধে কোনো প্রতিবাদ হয় না দেশে। কারণ প্রতিবাদ করলে যদি ইসলামের বিরোধিতা হয়, তাই যেভাবে চলছে চলুক। শিশু প্রাণ হারাক, হুজুরের ধর্মের ব্যবসার আড়ালে শারীরিক চাহিদা মিটুক!
এবার ধর্ষণ করা হলো এক মাদ্রাসা ছাত্রীকে। এই শিশুগুলোর দোষ কী? নারী ধর্ষণ হলে মৌলবাদী গোষ্ঠী ধুয়ো তুলে তারা হিজাব, বোরখা পরেনি বলেই নাকি ধর্ষণ হয়!
তা এই সাত বছরের শিশুটির কী দোষ?
খাবারের লোভ দেখিয়ে খাগড়াছড়ির রামগড় উপজেলায় সাত বছরের দ্বিতীয় শ্রেণীর এক মাদ্রাসা ছাত্রীকে ধর্ষণ করেছে চা দোকানি।
চা দোকানিকে আটক করেছে পুলিশ।
উপজেলার ২ নম্বর পাতাছড়া ইউনিয়নের রসুলপুর গ্রামের পাতাছড়া বাজার থেকে তাকে আটক করা হয় বলে রামগড় থানার ওসি মোহাম্মদ মঈন উদ্দিন জানিয়েছেন।
ধর্ষকের বয়স ৫৩! মো. শাহিন রসুলপুর গ্রামের লেদু মিয়ার ছেলে। পাতাছড়া বাজারে একটি চায়ের দোকান চালান তিনি।
মঙ্গলবার রাতে ওই শিশুকে রামগড় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
মেয়েটির বাবা বলেন, মঙ্গলবার দুপুরে মাদ্রাসা ছুটির পর তার মেয়ে এক সহপাঠীর সঙ্গে বাড়ি ফিরছিল। পথে চা দোকানি শাহিন মিয়া মেয়েকে খাবারের লোভ দেখিয়ে ধর্ষণ করে। পরে মোটরসাইকেলে করে বাড়ির সামনে নামিয়ে দিয়ে যায়।
তিনি বলেন, বিকালে মা ও নানি মেয়ের শরীরে রক্ত দেখে জানতে চাইলে সে পুরো ঘটনাটি জানায়।
ধর্ষক নিজের দোষ স্বীকার করেছে। তবে বিচার কদ্দুর এগোবে তা নিয়ে সন্দেহ আছে। কারণ ধর্ষণ, ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের খুন, এগুলো জায়েজ আছে। তাই বিচার আর এগোয় না।