টাঙ্গাইল: সুন্নতি চেহারা, দাড়ি রেখে, কোরান-হাদিসে উচ্চ জ্ঞানী হয়ে এই মাদ্রাসা শিক্ষকরা যে দিনের পর দিন এভাবে ধর্ষণ করছেন ছাত্রদের, এতে গুণাহ হয় না?

এই ঘটনা আজকে কালকের, একজন দুজনের নয়। অধিকাংশ মাদ্রাসা শিক্ষকদের এইরকম লেবাসের আড়ালে এক একজনের ধর্ষণের খবর সামনে আসছে।

তবুও অভিভাবকদের তরফ থেকে জোরালো প্রতিবাদ নেই। হয়তো কোরানের বিপক্ষে যাবে বলেই ভয়!

এবার ফের ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে।

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে আল-কারীম দারুর উলুম আজাদী মাদ্রাসার এক ছাত্রকে (১১) ধর্ষণের অভিযোগে শিক্ষক ওয়ালী উল্লাহকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

মাদ্রাসায় হত্যা করে নাম দেয় আত্মহত্যার, ছাত্রদের ধর্ষণ এগুলো কী ধর্ম সায় দেয়?

বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) রাতে জামালপুর জেলা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার মাদ্রাসা শিক্ষক উয়ালিউল্লাহ পাবনার চাটমোহর উপজেলার ধানবিলা গ্রামে মাওলানা মোহাম্মদ জহুরুল ইসলামের ছেলে।

জানা যায়, ধর্ষণের শিকার ওই ছাত্রকে নানা কাজের অজুহাতে শিক্ষক উয়ালিওল্লাহ গভীর রাতে তার রুমে নিয়ে যান।

এবং যৌন নিপীড়নমূলক কাজে বাধ্য করেন। গত ২৪ জুলাই শিশুকে ধর্ষণ করেন শিক্ষক ওয়ালী উল্লাহ।

এই বিষয়টি অন্য সহপাঠীদের কাছে জানালে ঘটনাটি প্রকাশ পায়।

তবে যেহেতু শিক্ষক মাদ্রাসার, ধর্মে ইসলাম- তাই নাম প্রকাশ পেলে লাভ কমবে, তাই একটি প্রভাবশালী মহল শিক্ষার্থীর পরিবারকে ভয়ভীতি দেখিয়ে টাকার বিনিময়ে স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করায় বলে অভিযোগ ওঠে।

শুধু তাই নয়, ঘটনাটি নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করায় সাংবাদিকদের ‘মব সৃষ্টি করে শায়েস্তা’ করার হুমকি দেয় ওই প্রভাবশালী মহল।

পরে অবশেষে বৃহস্পতিবার রাতে অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

তবে এই গ্রেপ্তারের কতটুকু মূল্য আছে সেটা আইন জানে!

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *