ঢাকা: কয়দিন আগেই ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী বলেছেন, ‘বাংলাদেশে কোনো জঙ্গি নেই। বাংলাদেশে আছে ছিনতাইকারী’।

জঙ্গী নেই তো জঙ্গী বেরোয় কোথা থেকে? ঘরের মধ্যেই চোর লুকিয়ে রেখে বাইরে এসে বলা, কোথায় চোর?

তাহলে কি মালয়েশিয়ার সরকারও এখন আওয়ামী লীগ? কারণ বাংলাদেশে জঙ্গীর বিরুদ্ধে কথা বলা, গ্রেপ্তার করলেই তো আওয়ামী লীগের ট্যাগ লাগিয়ে মব করা হয়! এই তো চলছে।

আসলে বাংলাদেশী এই জঙ্গীদের জন্য দেশের জঙ্গী সরকার এর মতামত ও অবস্থান কি এবং মালয়েশিয়া বাংলাদেশী হাই কমিশন কি করছে সে বিষয়ে জাতি এখনো পরিষ্কার নয়।

আইএসের মতাদর্শ প্রচার এবং নিজেদের কমিউনিটির মধ্যে কর্মী নিয়োগের জন্য সেল গঠন করে সন্ত্রাসবাদী কাজের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে মালয়েশিয়ায় ৩৬ বাংলাদেশিকে আটক করেছে সে দেশের পুলিশ।

মালয়েশিয়ার পুলিশ গত কয়েক দিন ধরে তিন ধাপে অভিযান চালিয়েছে।

মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাইফুদ্দিন এক বিবৃতিতে জানান, “আটকদের মধ্যে ৫ জনকে সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার অপরাধে শাহ আলম ও জোহর বারু সেশন আদালত অভিযুক্ত করেছে।”

“১৫ জনকে দেশে ফেরত পাঠানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে এবং বাকি ১৬ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত এখনো চলমান।”

মন্ত্রী আরও বলেন, “মালয়েশিয়ার পুলিশের বিশেষ শাখা থেকে পাওয়া গোয়েন্দা তথ্য অনুযায়ী, আটককৃতরা আইএসের মতাদর্শ প্রচার করছিল এবং নিজেদের কমিউনিটির মধ্যে কর্মী নিয়োগের জন্য সেল গঠন করেছিল।”

তবে এই খবর নিয়ে খুব একটা আলাপ বাংলাদেশে হয়নি। মুহাম্মদ ইউনূস যেখানে নিজেই এর পক্ষে তখন আর আলোচনা কিসের!

তবে একটি ভয়ঙ্কর বিষয় সামনে এসেছে, সেটি হচ্ছে জঙ্গিবাদে জড়িত থাকার অভিযোগে মালয়েশিয়ায় গ্রেপ্তার বাংলাদেশিদের দলটি সিরিয়া ও বাংলাদেশে ‘ইসলামিক স্টেটের (আইএস) সেলগুলোকে’ অর্থ পাঠাত।

এই তথ্য দিয়েছেন দেশটির পুলিশ প্রধান।

পুলিশের মহাপরিদর্শক মোহাম্মদ খালিদ ইসমাইল শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছছন, চলতি বছরের এপ্রিল থেকে পরিচালিত ধারাবাহিক অভিযানে ওই ৩৬ বাংলাদেশিকে আটক করা হয়; তারা মূলত কারখানা, নির্মাণ ও সেবা খাতে কর্মরত ছিলেন।

রয়টার্স লিখেছে, মুসলিম-অধ্যুষিত মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরে ২০১৬ সালে আইএসের এক হামলার পর থেকে শত শত সন্দেহভাজন জঙ্গিকে আটক করেছে দেশটির পুলিশ।

গোয়েন্দা তথ্যের বরাতে খালিদ ইসমাইল বলছেন, বাংলাদেশিদের ওই চক্রটি অন্য বাংলাদেশি শ্রমিকদের মধ্যে থেকে সদস্য বাড়াচ্ছিলেন এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও মেসেজিং অ্যাপের মাধ্যমে ‘উগ্রবাদী মতাদর্শ’ ছড়াচ্ছিলেন।

তিনি বলেন, এই চক্র আন্তর্জাতিক মানি ট্রান্সফার সার্ভিস এবং ই-ওয়ালেট ব্যবহার করে সিরিয়া ও বাংলাদেশে ‘আইএসের জন্য’ অর্থ পাঠাত।

তদন্ত করে পুরো বিষয় দেখা‌ হচ্ছে।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *