রংপুর: রাষ্ট্র যখন খুনিদের পাহারা দেয়, তখন সংখ্যালঘুদের জীবন শুধু হত্যার টার্গেট!
বাংলাদেশে এখন ইউনুস সরকারের হাতে হত্যার লাইসেন্স। সংখ্যালঘু হলেই টার্গেট। সেখানে গ্রেপ্তারের তো প্রশ্নই ওঠে না।
রংপুরের তারাগঞ্জে রূপলাল রবিদাস ও তাঁর ছেলে প্রদীপ লাল রবিদাসকে চোর সন্দেহে প্রকাশ্যে পিটিয়ে হত্যা করেছে উন্মত্ত জনতা। অথচ ভিডিও প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও পুলিশ বিলম্ব করে খুনিদের পালিয়ে যেতে সুযোগ দিয়েছে।
মব করার জন্য জনতার হাতে তুলে দেয়া হয়েছে দুইজন হিন্দুকে।
নিহত প্রদীপের মেয়ে পলাশী রানীর হাহাকার—
“আমার বাবা-দাদাকে যারা হত্যা করেছে, আমরা তাদের ফাঁসি চাই।”
কিন্তু—ইউনুস সেনাশাসনের এই বাংলাদেশে সে বিচার কি পাওয়া যাবে?
প্রদীপ লালের ছেলে আপন বলেন,
“আমার বাবা প্রতিবন্ধী। নিজে হাঁটতেই পারতেন না। তিনি চোর হবেন কীভাবে? অপবাদ দিয়ে আমাদের বাবাকে হত্যা করা হয়েছে।”
এই ঘটনা প্রমাণ করে—বাংলাদেশে আজ সংখ্যালঘু হওয়াই সবচেয়ে বড় অপরাধ।
রংপুরের তারাগঞ্জে দুই ব্যক্তিকে প্রকাশ্যে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় ছড়িয়ে পড়া ভিডিও দেখে অনেকে চিহ্নিত হলেও পুলিশ তাঁদের গ্রেপ্তার করছে না।
ঘটনার ছড়িয়ে পড়া তিনটি ভিডিও বিশ্লেষণ করে মারধরে জড়িত অন্তত সাতজনের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে।
তবে প্রশাসন, সরকার নির্বিকার। দুইজন হিন্দুই তো মরেছে কী আর এমন গেলো এলো জঙ্গীদের?