ঢাকা: বাংলাদেশের অস্তিত্ব মূলত একাত্তর, এটা অস্বীকার যেন জন্মকেই অস্বীকার।

বাংলাদেশ সরকারের গেজেটে প্রবাসী বাংলাদেশ সরকারের (মুজিবনগর সরকার) সকল সদস্যকে বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে৷

সেক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বা তাজউদ্দীন আহমেদের নাম মুক্তিযোদ্ধার তালিকা থেকে বাদ পড়ছে কীভাবে? তাঁরা সকলেই মুজিবনগর সরকারের সদস্য!

মুজিবনগর সরকারের রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমান (পাকিস্তানের কারাগারে বন্দী ছিলেন), উপরাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম (রাষ্ট্রপতির অনুপস্থিতিতে অস্থায়ী রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করেছিলেন), প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমেদকে গতকালের গেজেটের ভিত্তিতে কোনওভাবেই ‘মুক্তিযুদ্ধের সহযোগী’ বলা সম্ভব নয়৷

কারণ তাঁরা সকলেই ‘মুজিবনগর সরকারে’র সদস্য, ফলে তাঁরা অবশ্যই’মুক্তিযোদ্ধা’।

মুক্তিযুদ্ধের সময় ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল গঠিত মুজিবনগর সরকারের সদস্যরা ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা’ হিসেবে বিবেচিত হবেন।

আর মুজিবনগর সরকার গঠনে যাঁরা সাহায্য , সহযোগিতা করেছেন, তাঁরা ‘মুক্তিযুদ্ধের সহযোগী’ হবেন।

এদিকে, নতুন অধ্যাদেশে জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানসহ জাতীয় চার নেতা ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা’ হিসেবে বিবেচিত হবেন বলে প্রথম আলোকে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক ই আজম।

এই বিষয়ে তিনি বলেন, মুজিবনগর সরকারের যাঁরা ছিলেন, তাঁরা সবাই হলেন মুক্তিযোদ্ধা। তবে মুজিবনগর সরকারের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ‘মুক্তিযুদ্ধের সহযোগী’ হিসেবে বিবেচিত হবেন।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *