ঢাকা: নিহত আহতের হিসাব দেখতে মিলাতে কমিটি লাগে? মাইলস্টোন স্কুল এন্ড কলেজের রেজিস্টার নেই?
রেজিস্টার মিলিয়ে কেন দেখা হচ্ছে না? একটা প্রতিষ্ঠান যত বড়ই হোক না কেন সেখানে কয়জন শিক্ষার্থী বেঁচে আছে আর মারা গেছে, কয়জন আহত সেই হিসাব বের করতে ২৪ ঘন্টার বেশি সময় লাগার কথা না।
প্রতিটি শিক্ষার্থীর অভিভাবকদের সাথে যোগাযোগ করলেই হিসাব নিশ্চিত করে ফেলা যায়।
এর জন্য কমিটির প্রয়োজন হয় না।
তবে এটা তো ইউনূসের বাংলাদেশ, এখানে সব সিদ্ধান্ত নিতে একটু দেরি হয়। কমিটি করতে করতে লাগে দুইদিন, হিসেব বের করতে লাগবে ৫ বছর।
লাশ গুম করে এখন কমিটি গঠনের নাটক করা হচ্ছে।
রাজধানীর উত্তরার দিয়াবাড়িতে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভবনে প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় হতাহতের প্রকৃত সংখ্যা নির্ণয় করে ঠিকানাসহ তালিকা প্রস্তুত করতে একটি কমিটি গঠন করেছে স্কুল কর্তৃপক্ষ।
মঙ্গলবার এই কমিটি গঠন করা হয়।
তাতে বলা হয়েছে, দুর্ঘটনায় আহত-নিহত ও নিখোঁজ শিক্ষার্থী ও অন্যান্যদের প্রকৃত সংখ্যা নির্ণয় করে ঠিকানাসহ তালিকা প্রস্তুত করার জন্য নিম্নবর্ণিত কর্মকর্তা, অনুষদ সদস্য, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের সমন্বয়ে কমিটি গঠন করা হয়েছে।
কমিটিতে সভাপতির দায়িত্ব পালন করবেন অধ্যক্ষ মোহাম্মদ জিয়াউল আলম।
এছাড়া সদস্য হিসেবে আছেন- মো. মাসুদ আলম, উপাধ্যক্ষ (প্রশাসন); খাদিজা আক্তার, প্রধান শিক্ষিকা; লুৎফুন্নেসা লোপা, কো-অর্ডিনেটর; মনিরুজ্জামান মোল্লা, অভিভাবক (শিক্ষার্থী: যাইমা জাহান, শ্রেণি: চতুর্থ, ক্লাস কোড: ২২৭৪); মারুফ বিন জিয়াউর রহমান, শিক্ষার্থী, বিজ্ঞান বিভাগ, দ্বাদশ শ্রেণি; মো. তাসনিম ভূঁইয়া প্রতিক, শিক্ষার্থী, বিজ্ঞান বিভাগ, দ্বাদশ শ্রেণি।
বলা হচ্ছে, আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দেয়া হবে! এই তিনদিনে রিপোর্টের অনেক কিছুই নয়ছয় করা যায়!
লাশের উপর রাজনীতি করে যে দেশের প্রধান হাসতে থাকেন, তিনি আর কোন কাজের সাথে যুক্ত, বোঝার বাকি থাকে না।